যুক্তরাষ্ট্রে লেখিকা এলিজাবেথ জেন ক্যারলকে যৌন নির্যাতন ও মানহানির ঘটনায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ৫০ লাখ ডলারের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার রায় বহাল রেখেছেন দেশটির একটি ফেডারেল আপিল আদালত। এই সিদ্ধান্তকে নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্টের জন্য এক আইনি বাধা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ম্যানহাটানের আপিল আদালত ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এ আদেশ দেন। এর আগে এ–সংক্রান্ত মামলার পুনর্বিচারে তাঁর করা আবেদন আদালত নাকচ করে দেন। আদালত আদেশে বলেন, মামলায় অভিযোগকারীদের সাক্ষ্যসহ সব প্রমাণ যথাযথভাবে দাখিল করা হয়েছে।
ক্যারলের অভিযোগ ছিল, ১৯৯৬ সালে নিউইয়র্কের একটি ডিপার্টমেন্ট স্টোরের ড্রেসিংরুমে ট্রাম্প তাঁকে ধর্ষণ করেছিলেন। ওই সময় তিনি এক বন্ধুর জন্য উপহার কিনতে সেখানে গিয়েছিলেন। পূর্বপরিচিত ট্রাম্প তাঁকে উপহার পছন্দ করে দিতে সহায়তা করছিলেন। এর পাশাপাশি ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগও করেন ক্যারল।
পৃথক মানহানির একটি মামলায় ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে ম্যানহাটানের ফেডারেল আদালত ক্যারলকে ৮৩ লাখ ডলারের বেশি ক্ষতিপূরণ দিতে ট্রাম্পের প্রতি আদেশ দেন। এ রায়ের বিরুদ্ধেও আপিল করেছেন ট্রাম্প।
প্রথম দফায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ারও ২০ বছর আগে ক্যারলকে ধর্ষণ ও মানহানির এ ঘটনা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন ট্রাম্প। তাঁর দাবি ছিল, প্রচার পেতে এমন ‘কল্পকাহিনি’ এঁটেছেন ক্যারল।
এ ঘটনায় করা মামলায় গত বছরের মে মাসে ট্রাম্পকে দোষীসাব্যস্ত করেছিলেন একটি আদালত। তবে সে সময় আদালতের জুরি এটিকে ধর্ষণের মামলা হিসেবে উল্লেখ করেননি। রায়ে যৌন নির্যাতনের দায়ে ট্রাম্পকে ২০ লাখ ডলারের কিছু বেশি ও ক্যারলের মানহানির জন্য আরও ২৯ লাখ ডলার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করা হয়।
এদিকে আপিল আদালতের রায়ের প্রতিক্রিয়ায় এক বিবৃতিতে ক্যারলের আইনজীবী রবার্টা কাপলান বলেন, ‘জেন ক্যারল ও আমি দুজনই আজকের সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট। ভুক্তভোগী পক্ষের যুক্তি যত্নের সঙ্গে বিবেচনা করায় আদালতকে ধন্যবাদ জানাই আমরা।’
এদিকে পৃথক মানহানির একটি মামলায় ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে ম্যানহাটানের ফেডারেল আদালত ক্যারলকে ৮৩ লাখ ডলারের বেশি ক্ষতিপূরণ দিতে ট্রাম্পের প্রতি আদেশ দেন। এ রায়ের বিরুদ্ধেও আপিল করেছেন ট্রাম্প।
তবে ট্রাম্প বরাবরই সব অভিযোগ নাকচ করেছেন। সেই সঙ্গে দাবি করেন, কখনোই ক্যারলের সঙ্গে দেখা করেননি তিনি। আগামী ২০ জানুয়ারি দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করবেন ট্রাম্প। সেই সময়ও এ মামলা চলবে বলে মনে করা হচ্ছে।