রাওয়ালপিন্ডিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে পাহাড় সমান ৪৪৮ রান করে ইনিংস ঘোষণা করেছিল পাকিস্তান। তবে বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দুর্দান্ত নৈপুণ্য দেখিয়েছেন টাইগার ব্যাটাররা। দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে তৃতীয় দিন শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩১৬ রান তুলেছে বাংলাদেশ। এতে স্বাগতিকদের থেকে ১৩২ রানের পিছিয়ে রয়েছে সফরকারীরা।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) তৃতীয় দিনের শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। পঞ্চম ওভারে সাজঘরে ফিরেছেন জাকির হোসেন। ৫৮ বল খেলে ১২ রান করেছেন তিনি। এরপর সাদমানকে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরার চেষ্টা করছেন অধিনায়ক শান্ত। ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি। ৪২ বলে ১৬ রান করে বোল্ড আউট হন এই বাঁহাতি ব্যাটার।
এরপর এরপর অভিজ্ঞ মুমিনুল হককে সঙ্গে নিয়ে টাইগার শিবিরে হাল ধরেন ওপেনার সাদমান ইসলাম। দুজনের ব্যাটে ভর করে ১০০ রানের কোটা পার করে বাংলাদেশ। ১২৩ বলে ক্যারিয়ারের তৃতীয় ফিফটি তুলে নেন সাদমান। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন মুমিনুল। মধ্যাহ্নভোজের পর মাঠে ফিরে ফিফটি তুলে নেন এই বাঁ হাতি ব্যাটারও।
তবে বেশিক্ষণ পিচে টিকতে পারেননি তিনি। ৭৬ বলে ৫০ রান করে বোল্ড আউট হন তিনি। তবে আরেক অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকুর রহিম নিয়ে রান তুলতে থাকেন সাদমান। কিন্তু ৭ রানের আক্ষেপ নিয়ে সাজঘরে ফেরেন এই টাইগার ওপেনার। ১৮৩ বলে ৯৩ রান করে মোহাম্মদ আলির বলে বোল্ড আউট হন তিনি।
এদিন পিচে এসে ওয়ানডে মেজাজে ব্যাট চালাতে থাকেন সাকিব আল হাসান। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি এই বাঁহাতি ব্যাটার। ১৬ বলে ১৫ রান করতে ক্যাচ আউট হন তিনি। লিটন দাসকে সঙ্গে দিয়ে রান তুলতে থাকেন মুশফিকুর রহিম। দুজনের ব্যাটে ভর করে এগোতে থাকে টাইগাররা।
১০৫ বলে ফিফটি তুলে নেন মুশফিকুর রহিম। অপর প্রান্তে ব্যাট চালাতে থাকেন লিটন দাসও। ৮৯তম ওভারে নাসিমের এক ওভারে তিনটি বাউন্ডারির পাশাপাশি এক ওভার বাউন্ডারি হাঁকান এই ডান হাতি ব্যাটার। সেই সঙ্গে ক্যারিয়ারের ১৭তম ফিফটি তুলে নেন তিনি।
শেষ পর্যন্ত ১২২ বলে ৫৫* রানে মুশফিক এবং লিটনের অপরাজিত ৫২ রানের ইনিংসে ভর করে তৃতীয় দিন শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩১৬ রান তুলেছে বাংলাদেশ। এতে ১৩২ রানে পিছিয়ে রয়েছে টাইগাররা।
পাকিস্তানের হয়ে খুরাম শাহজাদ দুটি উইকেট নেন। এ ছাড়াও নাসিম শাহ, মোহাম্মদ আলি এবং সাইম আইয়ুব একটি করে উইকেট শিকার করেন।