
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে লন্ডনে স্বাগত জানিয়ে কর্মসূচি পালন করেছেন একদল প্রবাসী বাংলাদেশি। অপর দিকে প্রধান উপদেষ্টার ভূমিকার সমালোচনা করে বিক্ষোভ করেছে প্রবাসী বাংলাদেশিদের আরেকটি দল।
চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে আজ মঙ্গলবার (১০ জুন) লন্ডনের স্থানীয় সময় সকাল সাতটায় হিথরো বিমানবন্দরে অবতরণ করেন প্রধান উপদেষ্টা। সেখানে তাঁকে স্বাগত জানান যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার আবিদা ইসলাম। বিমানবন্দর থেকে অধ্যাপক ইউনূস সরাসরি লন্ডনের ডরচেস্টার হোটেলে ওঠেন।

প্রধান উপদেষ্টাকে স্বাগত জানাতে এই হোটেলের সামনে সমবেত হন একদল প্রবাসী বাংলাদেশি। তাঁদের অনেকেই জামায়াতে ইসলামী, খেলাফত মজলিসসহ সমমনা দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। এ সময় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ব্যানারেও কিছু ব্যক্তিকে দেখা যায়। এই সমাবেশে জামায়াত নেতা ব্যারিস্টার আবু বকর মোল্লা, ব্যারিস্টার সাইফুদ্দিন খালেদ, খেলাফত মজলিসের নেতা মাওলানা সালেহ আহমদ উপস্থিত ছিলেন। এই অংশটি আজ স্থানীয় সময় বিকেলে পূর্ব লন্ডনের আলতাব আলী পার্কে ‘রিফর্ম বাংলাদেশ’র ব্যানারে অধ্যাপক ইউনূসের সমর্থনে একটি সমাবেশ করবে।
অন্যদিকে লন্ডনের ডরচেস্টার হোটেলের সামনে অবস্থান নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছেন যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মী ও সমর্থকেরা। প্রধান উপদেষ্টার লন্ডনে অবস্থানের পুরোটা সময় বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।
ডরচেস্টার হোটেলের সামনে এই বিক্ষোভে বেশে কয়েকজন সাবেক মন্ত্রী-এমপি অংশ নেন। তাঁদের মধ্যে সুনামগঞ্জ–১ আসনের সাবেক এমপি রণজিত সরকার, হবিগঞ্জ–৩ আসনের সাবেক এমপি ও সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিধান কুমার সাহাকে প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে দেখা গেছে। এ ছাড়া সাবেক প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীসহ বেশ কয়েকজন সাবেক মন্ত্রী, এমপি ও যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা বিক্ষোভে অংশ নেন।
সাইদুল ইসলাম, লন্ডন থেকে