লতিফ সিদ্দিকী ও সাংবাদিক মনজুরুল আলমের জামিন আবেদন নাকচ

0
10
সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল লতিফ সিদ্দিকীকে অবরুদ্ধ করেন একদল ব্যক্তি। ২৮ আগস্ট দুপুরে রাজধানীর ডিআরইউ মিলনায়তনে

রাজধানীর শাহবাগ থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী ও সাংবাদিক মনজুরুল আলম পান্নার জামিন আবেদন নাকচ করেছেন আদালত।

ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট হাসিব উল্লাস পিয়াস আজ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন বলেন, আবদুল লতিফ সিদ্দিকী ও মনজুরুল আলমের জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত তাঁদের জামিন আবেদন নাকচ করেন।

আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন জানান, জামিন শুনানির আগে মনজুরুল আলমকে আদালতে হাজির করা হয়। আজ নিয়ে তিনবার তাঁর জামিনের আবেদন করা হয়। তবে আজ আবদুল লতিফ সিদ্দিকীকে আদালতে হাজির করা হয়নি। আজ প্রথমবারের মতো তাঁর জামিনের আবদেন করা হয়।

গত বৃহস্পতিবার লতিফ সিদ্দিকী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক হাফিজুর রহমান কার্জন, সাংবাদিক মনজুরুল আলম পান্নাসহ অন্যরা ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) একটি গোলটেবিল আলোচনায় অংশ নিতে যান। গোলটেবিল আলোচনার আয়োজক ছিল ‘মঞ্চ ৭১’ নামের একটি প্ল্যাটফর্ম।

আলোচনা সভায় প্রথমে বক্তব্য দেন হাফিজুর রহমান। তাঁর বক্তব্য শেষ হওয়ার পরই মিছিল নিয়ে একদল ব্যক্তি ডিআরইউ মিলনায়তনে ঢোকেন। একপর্যায়ে তাঁরা গোলটেবিল আলোচনার ব্যানার ছিঁড়ে আলোচনায় অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের অবরুদ্ধ করেন। পরে পুলিশের একটি দল আসে। লতিফ সিদ্দিকী, হাফিজুর রহমান, মনজুরুল আলমসহ ১৬ জনকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করে পুলিশ। গত শুক্রবার এই ১৬ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। সেদিন লতিফ সিদ্দিকী ছাড়া বাকিদের জামিন আবেদন করা হয়েছিল। আদালত তা নাচক করে তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছিলেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.