পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ওই কিশোরী বাক্প্রতিবন্ধী। দীর্ঘদিন ধরে মাহবুব ওই কিশোরীকে ইশারা-ইঙ্গিতে বিয়ের প্রস্তাব দিতেন। প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় একাধিকবার ওই কিশোরীকে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকিও দিয়েছেন মাহবুব। সোমবার সকালে ওই কিশোরীর বাড়িতে কেউ ছিল না। এই সুযোগে মাহবুব বাড়িতে ঢুকে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেছেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে কিশোরীর এক স্বজন বাড়িতে ফিরে এসে মাহবুবকে ধরে ফেলেন। এ সময় কিশোরীর স্বজন চিৎকার শুরু করলে কৌশলে মাহবুব সেখান থেকে পালিয়ে যান।
এ ঘটনার পর গতকাল সন্ধ্যায় ওই কিশোরীর চাচা বাদী হয়ে মামলা করলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে মাহবুবকে গ্রেপ্তার করে। জানতে চাইলে লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোসলেহ উদ্দিন বলেন, পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে প্রতিবন্ধী এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। পরে অভিযান চালিয়ে মামলার একমাত্র আসামিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, পারিবারিক বিরোধের জেরে ওই মামলা হতে পারে। তবে ধর্ষণের অভিযোগের বিষয়টি ছাত্রলীগ খতিয়ে দেখবে। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে মাহবুব আলমের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।