২০২১ সালের ১০ ডিসেম্বর গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও বাহিনীর সাতজন কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
এম খুরশীদ হোসেন বলেন, ‘আমাদের কয়েক কর্মকর্তার বিষয়ে তারা কিছু জানতে চেয়েছে। তাদের অনেক ভুয়া তথ্য জানানো হয়েছিল। মূলত তাদের বিভ্রান্ত করা হয়েছিল। আমরা সব প্রশ্নের নথিপ্রমাণসহ জবাব দিয়ে দিয়েছি। সে ক্ষেত্রে আমাদের কাজের কোনো প্রতিবন্ধকতা নেই। তবে আমরা ইচ্ছা করলেই যা কিছু করতে পারি না, আমাদের বিধিমালা রয়েছে। র্যাব এলিট ফোর্স। কোনো সদস্য বিন্দুমাত্র অন্যায় করে রেহাই পেয়েছেন, এমন নজির নেই।’
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক সহকারী মন্ত্রী ডোনাল্ড লু গত জানুয়ারিতে ঢাকা সফরে এসে র্যাবের প্রশংসা করেছেন উল্লেখ করে র্যাবপ্রধান বলেন, ‘আমরা শুধু আইনশৃঙ্খলা নিয়ে কাজ করি না, বিভিন্ন মানবিক সমস্যা নিয়েও কাজ করি। দেশের সেবা করতে গিয়ে বাহিনীর অনেক সদস্য জীবন দিয়েছেন।’ তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি, সব দল অত্যন্ত আনন্দঘন পরিবেশে নির্বাচনে অংশ নেবে। যখন নির্বাচন হবে, নির্বাচন কমিশনের অধীনে আমরা নিরাপত্তা বিধানে কাজ করব। সবার সঙ্গে এক প্ল্যাটফর্মে থেকে এই দেশে গণতন্ত্রের ধারা যাতে অব্যাহত থাকে, সে চেষ্টা আমরা করব।’
আদালত চত্বর থেকে দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেওয়া প্রসঙ্গে র্যাবের এই শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, ‘আদালত প্রাঙ্গণ থেকে দুই জঙ্গি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় অবশ্যই আমাদের ব্যর্থতা ছিল। শুধু পুলিশকে এককভাবে বলছি না। পুলিশের সঙ্গে সবার একটা সমন্বয় থাকার কথা ছিল। সেখানে কোথাও সমন্বয়ের অভাব ছিল।’
এ প্রসঙ্গে র্যাবের মহাপরিচালক বলেন, সমন্বয়ের অভাব থাকার কারণে ওখানে যেভাবে লোক থাকার কথা ছিল, কিংবা জঙ্গিরা যখন পালিয়েছেন, তখন যে তথ্য জানানোর কথা ছিল, সেই জায়গাগুলোতে কোথাও অভাব ছিল। যে কারণে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে।