রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন: মিয়ানমার প্রতিনিধিদের সঙ্গে দ্বিতীয় দিনের সাক্ষাৎ চলছে

0
156
মিয়ানমার প্রতিনিধি দলের কাছে রোহিঙ্গারা সাক্ষাৎকার দিতে রেস্টহাউজের বাইরে অপেক্ষা করছেন কয়েকজন রোহিঙ্গা সদস্য।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় দ্বিতীয় দিনের মতো মিয়ানমার প্রতিনিধি দলের সঙ্গে রোহিঙ্গাদের সাক্ষাৎকার শুরু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে টেকনাফে এ সাক্ষাৎকার শুরু হয়।

এর আগে, গতকাল বুধবার ২৯ পরিবারের ৯৩ জন রোহিঙ্গা সাক্ষাৎকার দেন। তারা প্রত্যাবাসন তালিকা থেকে বাদ পড়া রোহিঙ্গা।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (উপসচিব) খালিদ হোসেন বলেন, ‘দ্বিতীয় দিনের মতো মিয়ানমার প্রতিনিধিরা রোহিঙ্গাদের সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন। বুধবার ৯০ জনের বেশি রোহিঙ্গা সাক্ষাৎকার দেন। এ কার্যক্রম আরও কয়েকদিন চলবে।’

সরেজমিনে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে টেকনাফের লেদা, মৌচনি জাদিমুরা রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে বাসে করে ১৯ পরিবারের ৫২ রোহিঙ্গা সদর উপজেলার স্থল বন্দরে অবস্থিত রেস্টহাউসে উপস্থিত হন। সেখানে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন মিয়ানমারের প্রতিনিধি দল।

জানতে চাইলে টেকনাফ শালবন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নেতা বজলুল রহমান জানান, দ্বিতীয় দিনের মতো মিয়ানমার প্রতিনিধি দলের কাছে রোহিঙ্গারা সাক্ষাৎকার শুরু হয়েছে। আজ ৫০টির বেশি পরিবারের রোহিঙ্গা সদস্যরা সাক্ষাৎ করবেন।

বুধবার মিয়ানমার প্রতিনিধির কাছে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন টেকনাফের মৌচনি ক্যাম্পের মোহাম্মদ খালেদ। তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারে আমরা যে গ্রামে বসবাস করেছি, সেখানকার ইউপি সদস্য (মেম্বার) ও চেয়ারম্যানের নাম জানতে চাওয়া হয়েছে। আমাদের উত্তর তারা লিখে রেখেছেন। আমি ছাড়াও আমার পরিবারের সদস্যদের তথ্য যাচাই করা হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের মিয়ানমার ফিরে যাওয়ার ব্যাপারে কিছু জানতে চাইনি। তবে আমরা ফিরে যেতে চাই। ভিটে মাটি, নাগরিকত্ব ও ইউএন নিরাপত্তা দিলে আমরা প্রত্যাবাসনে রাজি আছি।‘

আরআরআরসি কার্যালয় মতে, বৈঠকটি মূলত মিয়ানমারে পাঠানো রোহিঙ্গাদের তালিকা যাচাই করা। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে মিয়ানমারে ৮ লাখ ৬২ হাজার রোহিঙ্গার একটি তালিকা দেওয়া হয়েছিল। সেই তালিকা যাচাই-বাছাই শেষে প্রায় ৭০ হাজার রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নেওয়ার কথা জানায় তারা। শুরুতে পরিবারভিত্তিক প্রত্যাবাসনের আওতায় এক হাজারের বেশি রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নেওয়ার কথা এখন বলা হচ্ছে। এর মধ্যে হিন্দু সম্প্রদায়ের এক’শ জনের মতো রোহিঙ্গা রয়েছেন। এর বাইরেও প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হতে পারে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.