‘রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েট’ অভিনেত্রী অলিভিয়া মারা গেছেন

0
4
‘রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েট’ সিনেমায় অলিভিয়া হাসি। আইএমডিবি

ব্রিটিশ অভিনেত্রী অলিভিয়া হাসি মারা গেছেন। গতকাল শুক্রবার ৭৩ বছর বয়সী এ অভিনেত্রীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে এক পোস্টের মাধ্যমে তাঁর মৃত্যুর খবর জানানো হয়।

অলিভিয়া হাসি। এএফপি ফাইল ছবি

১৯৬৮ সালে ‘রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েট’ সিনেমায় অভিনয় করে পরিচিতি পান অলিভিয়া। সিনেমায় শুটিংয়ে তাঁর বয়স ছিল মাত্র ১৫। ‘জুলিয়েট’ চরিত্রে অভিনয় করে খ্যাতি থেকে পুরস্কার—সবই অর্জন করেছিলেন এ অভিনেত্রী। সে বছর সেরা নবাগত অভিনেত্রী হিসেবে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার জিতেছিলেন তিনি।

১৯৫১ সালে আর্জেন্টিনার বুয়েনস এইরেসে অলিভিয়া হাসির জন্ম। সাত বছর বয়সে লন্ডন যাওয়ার আগে নাটকের স্কুল ইতালিয়া কোন্তি একাডেমিতে পড়াশোনা শুরু করেন।

‘রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েট’ সিনেমার দৃশ্য। আইএমডিবি

উইলিয়াম শেক্‌সপিয়ারের নাটক অবলম্বনে নির্মিত ‘রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েট’ নির্মাণের পরিকল্পনার পর থেকেই প্রধান দুই চরিত্রে তরুণ কাউকে খুঁজছিলেন পরিচালক ফ্রাঙ্কো জেফিরেলি। একদিন তিনি মিস জোয়ান ব্রডির ‘প্রাইম’ নাটকের প্রদর্শনীতে যান। যেখানে ভেনেসা রেডগ্রেভের বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন অলিভিয়া হাসি। মঞ্চে অভিনেত্রীর পারফরম্যান্সে মুগ্ধ হন জেফিরেলি। ১৫ বছর বয়সী অলিভিয়া হাসিকে এরপরই এ চরিত্রের জন্য প্রস্তাব দেন।

সিনেমায় ‘রোমিও’ চরিত্রে অভিনয় করেন ব্রিটিশ অভিনেতা লিওনার্ড হোয়াইটিং। তখন অভিনেতার বয়স ছিল ১৬ বছর। ১৯৬৮ সালের অস্কারে ‘রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েট’ সেরা সিনেমা, সেরা পরিচালকসহ চারটি ক্যাটাগরিতে অস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিল। সেবার সেরা সিনেমাটোগ্রাফি ও সেরা কস্টিউম বিভাগে অস্কার জয় করে সিনেমাটি।
সিনেমাটি অলিভিয়া হাসির ক্যারিয়ারে ভূমিকা রাখলেও এ নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। অলিভিয়া হাসি ও লিওনার্ড হোয়াইটিং প্যারামাউন্ট পিকচার্সের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছিলেন। তাঁদের দাবি, ১৯৬৮ সালে মুক্তি পাওয়া ছবি সিনেমা শুটিংয়ের সময় কার্যত চাপ দিয়ে তাঁদের নগ্ন দৃশ্যে অভিনয় করানো হয়েছে। সে কারণেই ৫০০ মিলিয়ন ডলারের ক্ষতিপূরণ দাবি করে আদালতের দ্বারস্থ হন তাঁরা।

অভিনেতা লিওনার্ড হোয়াইটিং তখন দাবি করেছিলেন, ইতালিয়ান পরিচালক ফ্রাঙ্কো জেফিরেলি জোর করে ওই দৃশ্যে অভিনয় করিয়ে নিয়েছিলেন। কিন্তু গত বছর একজন বিচারক মামলাটি খারিজ করে দিয়েছিলেন, দৃশ্যটি ‘যথেষ্ট যৌন ইঙ্গিতপূর্ণ’ ছিল না বলেও রায়ে বলা হয়।

বিষয়টি নিয়ে অস্কারজয়ী পরিচালকের ছেলে পিপ্পো জেফিরেলি দাবি করেছিলেন, ‘রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েট’ সিনেমায় দুই প্রেমিকের ভালোবাসা দেখানো হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘ওই দৃশ্যের সঙ্গে পর্নোগ্রাফির তুলনা করা মোটেও উচিত নয়। কারণ, ওই দৃশ্যে ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ দেখানো হয়েছে মাত্র। নোংরামি করা হয়নি।’
‘রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েট’ ছাড়াও ১৯৭৭ সালে টিভি মিনি সিরিজ ‘জিসাস অব নাজারেথ’-এ ‘মা মেরি’ চরিত্রে অভিনয় করেন অলিভিয়া। ২০১৫ সালে সবশেষে তাঁকে ‘সুইসাইট স্কোয়াড’ সিনেমায় দেখা গেছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.