সোনার দামে রেকর্ড, প্রতি ভরি কিনতে লাগবে ১ লাখ ৩ হাজার টাকা

0
118
সোনার অলংকার

দেশের বাজারে সোনার দামে আবারও নতুন রেকর্ড হয়েছে। তাতে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনা কিনতে লাগবে প্রায় ১ লাখ ৩ হাজার টাকা। আগামীকাল শুক্রবার থেকে নতুন এই দর কার্যকর হবে।

বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে প্রতি ভরি সোনায় সর্বোচ্চ ২ হাজার ৩৩২ টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্তের কথা জানায়। সমিতির যুক্তি, স্থানীয় বাজারে পাকা সোনার দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে দর সমন্বয় করা হয়েছে।

চলতি বছরের ২০ জুলাই দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ২২ ক্যারেট সোনার দাম এক লাখ টাকা ছাড়িয়েছিল। তখন ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম বেড়ে হয়েছিল ১ লাখ ৭৭৭ টাকা। মাঝে কিছুটা কমলেও ১৬ অক্টোবর আবার দাম বাড়ে। তখন প্রতি ভরি ২২ ক্যারেট সোনার দাম ১ লাখ ৫৪৪ টাকায় ওঠে।

জুয়েলার্স সমিতির তথ্য অনুযায়ী, ২২ ক্যারেটের পাশাপাশি অন্যান্য মানের সোনার দামও বাড়ছে। তাতে ২১ ক্যারেট সোনার ভরিতে ২ হাজার ২১৬ টাকা বাড়ছে। ফলে হলমার্ক করা ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম হচ্ছে ৯৮ হাজার ২১১ টাকা। আর ১৮ ক্যারেটের সোনার দাম ভরিতে ১ হাজার ৯৮৩ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে হবে ৮৪ হাজার ২১৪ টাকা। আর সনাতন পদ্ধতির সোনার দাম ১ হাজার ৫৭৫ টাকা বেড়ে ভরিপ্রতি নতুন দাম হবে ৭০ হাজার ১৫৯ টাকা।

সোনার দাম ভরিতে লাখ টাকা ছাড়ালেও দেশের বাজারে রুপার দাম অবশ্য অপরিবর্তিত আছে। হলমার্ক করা প্রতি ভরি ২২ ক্যারেট রুপার দাম ১ হাজার ৭১৫ টাকা। আর হলমার্ক করা প্রতি ভরি ২১ ক্যারেট রুপার দাম পড়বে ১ হাজার ৬৩৩ টাকা।

বাংলাদেশ ১৯৭১ সালে স্বাধীন হয়। তার আগের বছর সোনার ভরি ছিল ১৫৪ টাকা। ২০০০ সালে সোনার ভরি বেড়ে ৬ হাজার ৯০০ টাকায় দাঁড়ায়। ২০১০ সালে এই ধাতুর দাম বেড়ে ৪২ হাজার ১৬৫ টাকায় ওঠে। তার পর থেকে এখন পর্যন্ত দেশে সোনার দাম প্রায় আড়াই গুণ বেড়েছে।

মূলত করোনার পর বিশ্বব্যাপী সোনার দামে অস্থিরতা দেখা দেয়। তখন ‘সেফ হ্যাভেন’ বা ‘নিরাপদ বিনিয়োগ’ হিসেবে সোনাকেই বেছে নেওয়ার প্রবণতা বাড়ে। এতে বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স সোনার দাম দুই হাজার ডলার ছাড়িয়ে যায়। করোনার পর সোনার দাম কিছুটা কমলেও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর আবার বাড়ে। গত বছরের শেষ দিকে সোনার দাম কিছুটা কমে। চলতি বছর আবার দামি এই ধাতুর দাম বাড়তে থাকে। গত মে মাসে আবার আউন্সপ্রতি সোনার দাম ২ হাজার ৫০ ডলারে পৌঁছায়। তারপর দাম নিম্নমুখী থাকলেও চলতি মাসে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ শুরুর পর আবার বাড়তে থাকে।

বাজুসের নেতারা বলেন, বিশ্ববাজারে সোনার দাম বাড়ছে। অন্যদিকে স্থানীয় টাকার বিপরীতে মার্কিন ডলারের দামও অনেক বেড়ে গেছে। সে কারণে দেশের বাজারে সোনার ভরি লাখ টাকা ছাড়িয়েছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.