৭১ বছরে মারা গেলেন রেসলিং কিংবদন্তি হাল্ক হোগান, ৮০’র দশকে ডব্লুডব্লুইর সোনালি যুগের পোস্টারবয় ছিলেন তিনি।
পেশাদার রেসলিং দুনিয়ার সবচেয়ে বড় তারকাদের একজন টেরি বোলিয়া, যিনি হাল্ক হোগান নামে বিশ্বজুড়ে পরিচিত, আর নেই। বৃহস্পতিবার ৭১ বছর বয়সে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন এই কিংবদন্তি। খবরটি নিশ্চিত করেছে ওয়ার্ল্ড রেসলিং এন্টারটেইনমেন্ট (ডব্লুডব্লুই)।
এক বিবৃতিতে ডব্লুডব্লুই লিখেছে, ‘ডব্লুডব্লুই হল অব ফেমার হাল্ক হোগানের মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। পপ কালচারের অন্যতম পরিচিত মুখ হোগান ১৯৮০-এর দশকে ডব্লুডব্লুইকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। তাঁর পরিবার, বন্ধু এবং অসংখ্য ভক্তদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছে ডব্লুডব্লুই।’
ফ্লোরিডার ক্লিয়ারওয়াটার শহরের পুলিশ জানিয়েছে, হোগানের বাড়িতে হার্ট অ্যাটাকের খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ছুটে যান। ফায়ার ও রেসকিউ টিম তাঁকে উদ্ধার করে মর্টন প্লান্ট হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

১৯৮০-এর দশকে রেসলিংয়ের ‘সোনালি যুগে’ হোগান ছিলেন পোস্টারবয়। তাঁর বিখ্যাত সংলাপ ‘সে ইউর প্রেয়ারস অ্যান্ড ইট ইউর ভিটামিনস’ আর বাহুর মাপ নিয়ে দম্ভোক্তি—‘২৪ ইঞ্চি পাইথন’—তাঁকে সাধারণ দর্শকের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছিল।
তবে বিতর্কও পিছু ছাড়েনি হোগানের। ২০১৫ সালে বর্ণবাদী মন্তব্য সংবলিত একটি ভিডিও ফাঁস হলে তাঁর ভাবমূর্তি বড় ধাক্কা খায়। একই সঙ্গে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘনের ঘটনায় গকার মিডিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করে ১১ কোটি ৫০ লাখ ডলার ক্ষতিপূরণ জেতেন হোগান, যা শেষ পর্যন্ত গকারকে দেউলিয়া করে দেয় এবং মিডিয়া আইনে বড় নজির হয়ে থাকে।
বিতর্ক সত্ত্বেও হাল্ক হোগান পেশাদার রেসলিংয়ের ইতিহাসে সবচেয়ে প্রভাবশালী তারকাদের একজন হয়েই থাকবেন।