একটি গোল, কিন্তু যা নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। পৃথিবীর মায়া ছেড়ে গেছেন ডিয়েগো ম্যারাডোনা, কিন্তু তার ‘হ্যান্ড অব গড’ গোলটি এখনো আলোচনার তুঙ্গে। ১৯৮৬ বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২-১ গোলে জেতে আর্জেন্টিনা। ম্যাচে আর্জেন্টিনার দুটি গোলই করেছিলেন ‘ফুটবলের ঈশ্বর’ ম্যারাডোনা।’ এর মধ্যে প্রথম গোলটি নিয়েই যত বিতর্ক। ম্যারাডোনা সেটি ‘পা’ দিয়ে নয়, গোল করেছিলেন ‘হাত’ দিয়ে।
ওই ম্যাচটিতে রেফারির দায়িত্বে ছিলেন তিউনিশিয়ার সাবেক রেফারি আলি বিন নাসের। ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়রা গোল বাতিলের আবেদন জানালেও তাতে সাড়া দেননি রেফারি আলী বিন নাসের। ম্যারাডোনা যে হাত দিয়ে গোল করেছেন, তা তিনি ধরতে পারেননি। পরবর্তীতে ম্যারাডোনা এটিকে ‘হ্যান্ড অব গড’ নামকরণ করেন।
ওই ম্যাচেই আরেকটি গোল করেন ম্যারাডোনা। যেটিকে গত শতকের সেরা গোল হিসাবে নির্বাচিত হয়। শতাব্দির সেরা গোলের সেই বলটি এতোদিন ধরে সংরক্ষণ করেছেন তিউনিশিয়ান রেফারি আল বিন নাসের। কাতার বিশ্বকাপের আগে নিলামে রেকর্ড দামে বিক্রি হয়েছে ম্যারাডোনার ‘হ্যান্ড অব গড’ গোলের সেই বল। মার্কার প্রতিবেদন অনুযায়ী, বলটি বিক্রি হয়েছে ২.৪ মিলিয়ন ডলারে। যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ২৫ কোটি টাকা।
তিউনিশিয়ার রেফারি নাসের বলেন, ‘এই বলটি আন্তর্জাতিক ফুটবল ইতিহাসের একটি অংশ। এটিকে বিশ্বের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার এটাই সেরা সময়। আমি নিশ্চিত, যিনি এই বল কিনবেন, তিনি তা কোনো না কোনোভাবে মানুষকে দেখতে দেবেন।’
চিরস্মরণীয় ওই ম্যাচে ম্যারাডোনার ব্যবহৃত বিভিন্ন জিনিসপত্র এর আগেও নিলামে উঠেছে। ম্যাচটিতে ম্যারাডোনার জার্সিটি ৯.৩ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি হয়েছিল।
কাতার বিশ্বকাপের বাকি আর মাত্র তিনদিন। যেখানে ক্যারিয়ারের শেষ বিশ্বকাপ খেলতে নামছে মেসির আর্জেন্টিনা। যে কারণে নীল-সাদা জার্সিধারীদের সমর্থকরা চাইছে তাদের প্রিয় দলের ঝুলিতে আসুক বিশ্বকাপ, আর সেটা আসুক তারকা লিও মেসির হাত ধরে।