ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক (রূপগঞ্জ, আড়াইহাজার ও সোনারগাঁ) আলমগীর হোসেন বলেন, আটতলাবিশিষ্ট ওই কারখানার সাততলার সুইং সেকশনে বিস্ফোরণের পর আগুন ধরে যায়। পরে ডেমরা ফায়ার স্টেশনের তিনটি ইউনিটের আধা ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। বিস্ফোরণের ফলে সপ্তম তলার একটি পাকা দেয়াল উড়ে গিয়ে দেয়ালের ধ্বংসাবশেষ মহাসড়কের ওপর পড়ে। এতে আশপাশ এলাকায় কিছুটা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন রূপগঞ্জ থানার পরিদর্শক তন্ময় মন্ডল। তিনি বলেন, ‘প্রথমে শুনেছিলাম ব্রয়লার বিস্ফোরণ। কিন্তু ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেল, ব্রয়লার বা গ্যাস বিস্ফোরণের মতো কোনো আলামত নেই। ফায়ার সার্ভিস ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের সঙ্গে আমরা যৌথভাবে প্রাথমিক তদন্ত চালিয়েছি। সেখানে কোনো রাসায়নিক বা দাহ্য কোনো পদার্থের অস্তিত্ব পাইনি। তবে ওই ফ্লোরের দরজা–জানালা বন্ধ ছিল। ধারণা করছি, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের পর ওই তলায় ধোঁয়া জমে যায়। সেখান থেকেই বিস্ফোরণ ঘটেছে।’
অন্তিম নিটিং অ্যান্ড ফিনিশিং লিমিটেড কারখানার মানবসম্পদ কর্মকর্তা বলেন, কারখানাটিতে প্রায় পাঁচ হাজার শ্রমিক কাজ করেন। সাপ্তাহিক ছুটি হিসেবে আজ কারখানা বন্ধ ছিল। তাই দুর্ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। আগুনে বেশকিছু যন্ত্রপাতি ও কাপড় পুড়ে গেছে। তাৎক্ষণিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ পাওয়া যায়নি।
কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের পরির্দশক শরফুউদ্দিন বলেন, বিস্ফোরণের পর ওই কারখানার দেয়ালের ধ্বংসাবশেষ সড়কের ওপর পড়ে ছিল। তখন স্থানীয় মানুষ গিয়ে কারখানার সামনের সড়কে ভিড় করায় কিছু সময়ের জন্য যান চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। পরে হাইওয়ে পুলিশের সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করে।