রিয়ালকে গোলবন্যায় ভাসিয়ে চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনা

0
3
চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনা

সবশেষ স্প্যানিশ সুপার কাপের ফাইনালে বার্সেলোনাকে ৪-১ গোলের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ। অপরদিকে এল ক্লাসিকোর শেষ দেখায় ‘হালি’ গোলের ব্যবধানে রিয়ালকে বিধ্বস্ত করেছিল কাতালানরা। তাই এবারের স্প্যানিশ সুপার কাপের ফাইনাল নিয়ে আলাদা উত্তেজনা ছিল ফুটবল ভক্তদের। তবে সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে যেন একপাক্ষিক ম্যাচের আধিপত্য নিয়ে রিয়ালকে ছেলেখেলা করেছে বার্সা। ৫-২ গোলের ব্যবধানে হেরে শিরোপা ধরে রাখতে ব্যর্থ রিয়াল মাদ্রিদ।

রোববার (১২ জানুয়ারি) সৌদি আরবের জেদ্দায় বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত ১টায় শুরু হয় এবারের স্প্যানিশ সুপার কাপের ফাইনাল। শুরুতে রিয়ালকে এমবাপ্পে এগিয়ে নেয়ার পর বার্সাকে সমতায় ফেরান লামিনে ইয়ামাল।

ম্যাচের প্রথমার্ধেই কাতালানদের হয়ে গোল পান লেভানদোভস্কি, রাফিনিয়া ও আলেহান্দ্রে বালদেও। বিরতির পর ব্যবধান আরও বাড়ান রাফিনিয়া। অবশ্য ম্যাচের ৬০ মিনিটের মাথায় রিয়ালের ব্যবধান কমান রদ্রিগো। পরবরতী ৩০ মিনিটের সাথে অতিরিক্ত সময়, গোল করতে পারেনি আর কেউই।

জেদ্দায় শুরুটা দারুণ হয় বার্সেলোনার। দ্বিতীয় মিনিটেই সুযোগ পায় তারা। তবে ইয়ামালের বক্সের বাইরে থেকে নেয়া বাঁকানো শট ঝাপিয়ে ঠেকান থিবো কোর্তোয়া। দুই মিনিট পর ফের সুযোগ পায় তারা। এবার রাফিনিয়ার হেড ঠেকিয়ে বিপদমুক্ত কেরন কোর্তোয়া। পরের মিনিটে অবশ্য এগিয়ে যায় রিয়াল। ম্যাচের পঞ্চম মিনিটেই ভিনিসিয়ুস থেকে পাওয়া বল জালে পাঠান কিলিয়ান এমবাপ্পে।

ম্যাচে গোলের শুরুটা করেন এমবাপ্পে। তবে সময়ের সাথেই খেই হারায় রিয়াল।

ম্যাচের ২২ থেকে ৩৯ এই ১৭ মিনিটে স্কোরবোর্ড যেন নতুন করে লেখে কাতালানরা। প্রথমেই বার্সাকে সমতায় ফেরান ইয়ামাল। লেভানদোভস্কির ব্যাকহিল পাস পেয়ে চুয়ামেনিকে কাটিয়ে বক্সে গিয়ে জাল খুঁজে নেন তরুণ এই ফরোয়ার্ড।

৩৫তম মিনিটে নিজেদের বক্সে গাভিকে ফাউল করেন কামাভিঙ্গা। কিছুক্ষণ পর ভিএআর দেখে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত জানান রেফারি। সফল স্পট কিকে দলকে এগিয়ে নিতে ভুল করেননি লেভানদোভস্কি। লিড নেয় বার্সা।

ক্রমশই আক্রমণ বাড়াতে থাকে এগিয়ে থাকা কাতালানরা। তিন মিনিট পর এগিয়েও যায় তারা। মাঝমাঠ থেকে আসা কুন্দের উড়ে আসা ক্রস দারুণ এক হেডে রিয়ালের জালে পাঠান রাফিনিয়া। যোগ করা সময়ে ব্যবধান আরও বাড়ান বালদে। রিয়াল মাদ্রিদের কর্নার থেকে আসা বল তাদের ভুলেই পেয়ে যান ইয়ামাল। তিনি খুঁজে নেন রাফিনিয়াকে। ভালভার্দের কাছে নিয়ন্ত্রণ হারানোর আগেই সেই বল টেনে নিয়ে জালে পাঠিয়ে দেন বালদে।

প্রথমার্ধ শেষেই যেন ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে রিয়াল। ৪-১ এ লিড নিয়ে বিরতিতে যায় কাতালানরা।

প্রথমার্ধের আগেই বড় ব্যবধানে লিড নেয় বার্সা।

বিরতির পর আগের মতোই আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে খেলতে থাকে বার্সেলোনা। ৪৮তম মিনিটে আরও একটি গোল পায় তারা। কাসাদো থেকে পাওয়া বল কয়েকজনকে কাটিয়ে বক্স থেকে লক্ষ্যভেদ করেন রাফিনিয়া। ৪ মিনিট পর ব্যবধান কমায় রিয়াল। আক্রমণে থাকা এমবাপ্পেকে বক্সের খুব কাছে ফাউল করে বসেন সেজনি। ভিএআর থেকে বার্সা গোলরক্ষককে লাল কার্ড দেখান রেফারি। ফ্রিকিক থেকে তখন গোলটি করেন রদ্রিগো।

দশ জনের বার্সেলোনার বিপক্ষে বাকি সময়টা গোলের জন্য চেষ্টা চালায় রাফিনিয়া। তবে বেশ কয়েকটি সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি তারা। শেষ পর্যন্ত ৫-২ গোলের ব্যবধানে জয় নিশ্চিত করে রেকর্ড ১৫ বারের মতো শিরোপা নিশ্চিত করে বার্সা।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.