জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার সহপাঠী রায়হান সিদ্দিকী আম্মান আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেননি। দুই দিনের রিমান্ড শেষে বুধবার তাকে আদালতে হাজির করার পর কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু বকর সিদ্দিক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রফিকুল ইসলাম হিরা।
পুলিশ ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, বুধবার দুপুরে পুলিশের কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে রায়হান সিদ্দিক আম্মানকে মুখে মাক্স পরা অবস্থায় আদালতে আনা হয়। পরে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। সোমবার একই আদালতের বিচারক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জবি’র সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের এক দিনের ও আম্মানের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে গত মঙ্গলবার রিমান্ড শেষে কারাগারে যাওয়া সহকারী প্রক্টরও স্বীকরোক্তিমূলক জবানবন্দি দেননি।
কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি ফিরোজ হোসেন জানান, ‘আদালতের আদেশ অনুযায়ী দ্বীন ইসলাম ও আম্মানকে জিজ্ঞাসাবাদে তাদের কাছ থেকে অবন্তিকার বিষয়ে বেশ কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। তবে তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হননি। এ মামলার তদন্ত ও প্রাপ্ত তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের স্বার্থে আমরা জবি প্রশাসনের সঙ্গেও কথা বলবো।’
শুক্রবার রাতে কুমিল্লা নগরের উত্তর বাগিচাগঁাও এলাকার ‘অরণি’ নামের ভাড়া বাসায় সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করেন অবন্তিকা। আত্মহত্যার আগে তিনি নিজের ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন এবং মৃত্যুর জন্য জবির সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠী আম্মানকে দায়ী করেন। ঘটনার পরদিন অবন্তিকার মা তাহমিনা শবনম বাদী হয়ে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন। ডিএমপি পুলিশ ওই দুজনকে গ্রেপ্তার করে রোববার কুমিল্লা পুলিশে হস্তান্তর করে। রিমান্ড শেষে তারা বর্তমানে কুমিল্লা কারাগারে আছেন।