দেশের রিজার্ভ ২২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। আইএমএফ’র হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী বর্তমানে রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলার।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) রাতে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আইএমএফ’র হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী বর্তমানে রিজার্ভ ২২ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলার। তবে মোট রিজার্ভ ২৭ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলার।
গতকাল সোমবার বিপিএম-৬ অনুযায়ী দেশের রিজার্ভ ছিল ২১ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন ডলার।
এদিকে, আগামী বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে ঋণের দুই কিস্তি হিসেবে ১৩০ কোটি মার্কিন ডলার পাবে বাংলাদেশ। মোট ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ কর্মসূচির মধ্যে বর্ধিত ঋণ সহায়তা এবং তহবিল সহায়তা বাবদ ঋণ ৩৩০ কোটি ডলার ও রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ফ্যাসিলিটি বাবদ ঋণ ১৪০ কোটি ডলার পাচ্ছে বাংলাদেশ।
২০২৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি এই ঋণের প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬৩ লাখ ডলার পায় বাংলাদেশ। এরপর তিন কিস্তিতে আইএমএফ থেকে ২৩১ কোটি ডলার পায় বাংলাদেশ। এখন ঋণের ২৩৯ কোটি ডলার বাকি রয়েছে। ৩৯ কোটি ডলার। আগামী ২৬ জুন দুই কিস্তির পাওয়ার পর বাকি থাকবে ১২৯ কোটি ডলার। যা আরও দুই কিস্তিতে পাওয়া যাবে।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, দুই কিস্তির অর্থ একসঙ্গে পেলে রিজার্ভের ওপর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। প্রস্তাবটি অনুমোদন না পেলে বড় একটা ধাক্কা আসত। ভবিষ্যতে জ্বালানি ভর্তুকি কমানো, ব্যাংক খাত সংস্কার এবং রাজস্ব আয় বৃদ্ধি—এই তিন বিষয়ে বাংলাদেশকে বেশি মনোযোগ দিতে হবে বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা।