ডলার সংকটের মধ্যে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আরও কমেছে। আজ বৃহস্পতিবার দিনের শুরুতে রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়ায় ২৩ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার। এক সপ্তাহ আগেও যা ২৩ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলার ছিল। সংকট মেটাতে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রির ফলে এভাবে কমছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
দেশের ইতিহাসে রেকর্ড ৪৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি রিজার্ভ ছিল ২০২১ সালের আগস্টে। করোনা পরবর্তী বাড়তি চাহিদা এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে টাকার বিপরীতে ডলার ব্যাপক শক্তিশালী হয়েছে। এতে করে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
ডলার সংকটের এ সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন উপায়ে আমদানি নিয়ন্ত্রণ করছে। এর ফলে গত অর্থবছর আমদানি কমেছে প্রায় ১৬ শতাংশ। আবার রপ্তানিতে প্রায় ৭ শতাংশ এবং রেমিট্যান্সে ২ দশমিক ৭৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ছিল। তবে বিদেশ থেকে ঋণ না পাওয়া এবং আগের ঋণ পরিশোধের চাপের কারণে সংকট থেকেই যাচ্ছে।
সংকট মোটাতে রিজার্ভ থেকে চলতি অর্থবছরের এ পর্যন্ত ১৩৫ কোটি ডলারের মতো বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গত অর্থবছর বিক্রি করে রেকর্ড ১৩ দশমিক ৫৮ বিলিয়ন ডলার। তার আগের অর্থবছর বিক্রি করা হয় ৭ দশমিক ৬২ বিলিয়ন ডলার। এভাবে ডলার বিক্রির ফলে রিজার্ভ ধারাবাহিভাবে কমছে।