‘ছেলের বিয়ে দিন’ খেতে বসে বলছিলেন বাড়িতে আসা অতিথি। এ কথা শুনে পাল্টা ছেলের জন্য তাদেরই মেয়ে খুঁজে দিতে বললেন মা সোনিয়া গান্ধী। ভারতের মোস্ট এলিজিবল ব্যাচেলর রাহুল গান্ধীকে নিয়ে সম্প্রতি এমন কথোপকথন হয় ১০ জনপথে।
নিজ বাসভবনে হরিয়ানার বেশ কয়েকজন নারী কৃষকের সঙ্গে সম্প্রতি মধ্যাহ্নভোজে বসেছিলেন কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। সেখানেই রাহুলকে বিয়ে দিতে বলেন এক নারী কৃষক। এ সময় পাল্টা তাঁকে বউ খোঁজার পরামর্শও দেন সোনিয়া গান্ধী। আর এই উত্তর শোনার পর হাসতে শুরু করেন উপস্থিত সবাই। রাহুলের মুখেও তখন লাজুক হাসি।
লোকসভা নির্বাচনের আগে জনসংযোগে জোর দিচ্ছেন রাহুল। নারীর ক্ষমতায়ন, খাদ্য সুরক্ষা, পণ্য পরিসেবা কর ইত্যাদি বিষয় নিয়ে কৃষক পরিবারগুলোর সঙ্গে ইদানীং ধারাবাহিক আলোচনা করছেন রাহুল। কখনও কখনও তাঁদের মধ্যাহ্নভোজ বা নৈশভোজে আমন্ত্রণও জানাচ্ছেন। সম্প্রতি হরিয়ানার কৃষকদের সঙ্গে এক কর্মসূচিতে থাকাকালীন মহিলা কৃষকদের বেশ কিছু প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন রাহুল। যার মধ্যে অন্যতম ছিল দিল্লি দর্শন।
১০ জনপথের বাসায় হরিয়ানার নারী কৃষকের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজে সোনিয়া গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী
৮ জুলাই রাহুল গান্ধী হরিয়ানার সোনিপথ জেলার মদিনা গ্রামে যান। সেখানকার কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের পাশাপাশি কৃষি জমিতে নেমে কৃষকদের সঙ্গে কাজ করতেও দেখা যায় রাহুলকে। তখনই কৃষক নারীরা রাহুলের কাছে অনুযোগের সুরে জানিয়েছিলেন যে, এত কাছাকাছি থাকা সত্ত্বেও তারা কখনও রাজধানীতে যাননি। রাহুল গান্ধী তখন তাদের ‘দিল্লি দর্শনের’ জন্য আমন্ত্রণ জানানোর পাশাপাশি তাদের বাসভবনে খাবারের জন্য আমন্ত্রণ জানান। সেই মোতাবেক ১৪ জুলাই ১০ জনপথে মধ্যাহ্নভোজে গিয়েছিলেন ৪৩ জন নারী কৃষক।
সোনিয়া-প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে তাদের আড্ডার একটি ভিডিও রাহুল টুইট করেছেন। তাতে দেখা যাচ্ছে, এক নারী সোনিয়াকে বলছেন, ‘রাহুলজির বিয়ে দিয়ে দিচ্ছেন না কেন?’ এ কথা শুনে সোনিয়া গান্ধী বলেন, ‘আপনারাই একটা মেয়ে খুঁজে দিন না।’
ওই ভিডিও পোস্ট করে রাহুল লেখেন, ‘মা, প্রিয়াঙ্কা ও আমার কাছে এটি একটি স্মরণীয় দিন। সোনিপথের কৃষক বোনেরা দিল্লিদর্শন করলেন, একসঙ্গে বাড়িতে খাওয়া-দাওয়া করলাম ওদের সঙ্গে। খুব হাসিঠাট্টা হয়েছে। সেই সঙ্গে অসম্ভব ভালো উপহার পেলাম। দেশি ঘি, মিষ্টি লসসি, বাড়িতে তৈরি আচার এবং অনেক অনেক ভালোবাসা।’
‘কবে বিয়ে করছেন’ এমন প্রশ্ন রাহুলকে প্রায়ই শুনতে হয়। কয়েকদিন আগেই পাটনায় বিরোধীদের বৈঠক দেশে বিহারের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদবও সংবাদ সম্মেলনে সরাসরি ৫৩ বছরের রাহুলকে পরামর্শ দিয়েছিলেন, ‘এখনও খুব দেরি হয়নি, দ্রুত বিয়েটা সেরে ফেলুন।’
যদিও এমন প্রশ্নে রাহুল ভারত জড়ো যাত্রার মধ্যেই একটি ইউটিউব চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে মনের কথা খুলে বলেছিলেন। রাহুল জানিয়েছিলেন, পছন্দমতো মেয়েকে খুঁজে পেলে অবশ্যই বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন।
কেমন মেয়ে পছন্দ সে প্রসঙ্গে বলেছিলেন, ‘আমার মা আর ঠাকুমা-দু’জনের গুণ যদি একজন মেয়ের মধ্যে থাকে, তাহলে সেই মেয়েকে আমার পছন্দ হবেই।’


















