ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিকদের বিরুদ্ধে সহিংসতা বা সহিংসতার হুমকি অগ্রহণযোগ্য বলে মন্তব্য করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর।
গতকাল বৃহস্পতিবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এই মন্তব্য করেন মুখপাত্র ম্যাথু মিলার।
ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে ক্ষমতাসীন দলের সদস্যরা অব্যাহতভাবে হত্যার হুমকি দিচ্ছেন। আওয়ামী লীগের কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যায়ের নেতারা একই সুরে কথা বলছেন, তাঁরা রাষ্ট্রদূতকে হত্যা করতে চাইছেন। রাষ্ট্রদূত নিজেই গত বুধবার তাঁর নিরাপত্তা ও দূতাবাসের কর্মীদের নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী কি এই হুমকি, এই সহিংসতামূলক বক্তব্যকে গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছেন?
জবাবে ম্যাথু মিলার বলেন, বিদেশে থাকা মার্কিন কূটনীতিকদের নিরাপত্তার বিষয়টি অবশ্যই যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। তাঁদের বিরুদ্ধে যেকোনো হুমকি যুক্তরাষ্ট্র খুব গুরুত্বের সঙ্গে নেয়। মার্কিন কূটনীতিকদের বিরুদ্ধে সহিংসতা বা সহিংসতার হুমকি অগ্রহণযোগ্য। মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে লক্ষ্য করে আক্রমণাত্মক বক্তব্যের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের কাছে বারবার উদ্বেগ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
মিলার বলেন, বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষকে যুক্তরাষ্ট্র মনে করিয়ে দিতে চায়, ভিয়েনা সনদ অনুসারে মার্কিন কূটনৈতিক মিশন ও কূটনীতিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র আশা করে, বাংলাদেশ সরকার এই বাধ্যবাধকতা অনুসারে কাজ করবে।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে হত্যার হুমকি দিয়ে বক্তব্য দিয়েছেন কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ফরিদুল আলম। গত বুধবার তাঁর এ-সংক্রান্ত বক্তব্যের একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
গত সপ্তাহে চট্টগ্রামের বাঁশখালীর চাম্বল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক মুজিবুল হক চৌধুরী মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে পেটানোর হুমকি দেন। এ-সংক্রান্ত বক্তব্য তিনি নিজের ফেসবুক লাইভেও প্রচার করেন।