রাষ্ট্রদূতের বাড়তি নিরাপত্তা প্রত্যাহার সরকারের দায়িত্বহীনতা: মির্জা ফখরুল

0
135
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

৬ রাষ্ট্রদূতের বাড়তি নিরাপত্তা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত সরকারের চরম দায়িত্বহীনতা বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, এবার তিন দেশ সফরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী সেরকম প্রটোকল পাননি। এ কারণে হয়তো একটা প্রতিবাদ হিসেবে বা প্রতিশোধ হিসেবে রাষ্ট্রদূতদের বাড়তি নিরাপত্তা প্রত্যাহার হতে পারে। সরকারের এই আত্মম্ভরিতা-অহংকার সবচেয়ে বড় ক্ষতি করতে পারে। এর ফলে আন্তর্জাতিক সমস্যার সৃষ্টি হবে। সেই সমস্যা বাংলাদেশের জনগণকেই ভোগ করতে হবে।

মঙ্গলবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দল ও অঙ্গসংগঠনের যৌথসভা শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আগামী ২৯ মে থেকে ১০ জুন পর্যন্ত ১৩ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন মির্জ ফখরুল। এর মধ্যে প্রয়াত রাষ্ট্রপতির কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ, আলোচনা সভা, সেমিনার, আলোকচিত্র প্রদর্শনী, রচনা প্রতিযোগিতা, স্বরচিত কবিতা পাঠ ও বইমেলা প্রদর্শনী রয়েছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, রাষ্ট্রদূতরা দীর্ঘকাল ধরে প্রটোকল পেয়ে আসছেন। হঠাৎ করে সেই প্রটোকল বাতিল করায় নিঃসন্দেহে একটা উত্তেজনা সৃষ্টি করবে, একটা সমস্যা সৃস্টি করবে, একটা সংকট সৃষ্টি করবে। এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। এটা আমরা নিশ্চিত করে বলতে পারি। এটা বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে অবশ্যই ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে।

সরকারের এই সিদ্ধান্তে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, কূটনীতির বিষয়ে এটা (নিরাপত্তা প্রত্যাহার) বাংলাদেশকে আরও একঘরে করে তুলবে, বাংলাদেশের ক্ষেত্রে বড় ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। কারণ সমস্যাটা শুধু সরকারের না, সমস্যাটা, দেশের জনগণের।

তিনি আরও বলেন, এখন যদি যুক্তরাষ্ট্র এই বিষয়ে পাল্টা কোনো ব্যবস্থা নেয়, সেটা তো বাংলাদেশের মানুষের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে, যুক্তরাজ্য যদি পাল্টা ব্যবস্থা নেয় সেটা ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। সৌদি আরব, যারা সবসময় বাংলাদেশকে সহযোগিতা কর আসছে তারা যদি কোনো ব্যবস্থা নেয় সেটা ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। এটা বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোনো শুভ ফল বয়ে আনবে না।

বিএনপি মহাসচিবের সভাপতিত্বে সভাপতিত্বে যৌথ সভায় দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম আজাদ, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, তাইফুল ইসলাম টিপু, মহিলা দলের আফরোজা আব্বাস, মহানগর উত্তর বিএনপির আমিনুল হক, দক্ষিণ বিএনপির রফিকুল আলম মজনু, যুবদলের সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের রাজিব আহসান, শ্রমিক দলের মনজরুল ইসলাম মঞ্জু, কৃষক দলের হাসান জাফির তুহিন, মুক্তিযোদ্ধা দলের ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, সাদেক আহমেদ খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.