ভাড়াটে যোদ্ধা সরবরাহকারী রুশ প্রতিষ্ঠান ভাগনারের বিদ্রোহের পর চীন তার প্রতিক্রিয়ায় বলেছে, জাতীয় স্থিতিশীলতা রক্ষায় রাশিয়াকে সমর্থন করে বেইজিং।
ভাগনারের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোশিন বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন। গত শনিবার তিনি তাঁর বাহিনী নিয়ে ইউক্রেন সীমান্ত পেরিয়ে রাশিয়ার রাজধানী মস্কো অভিমুখে অভিযাত্রা করেছিলেন।
পরে বেলারুশের মধ্যস্থতায় তিনি এই অভিযাত্রা বন্ধ করেন। সমঝোতা অনুযায়ী, প্রিগোশিন বেলারুশে চলে যাবেন। বিদ্রোহের কারণে তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রত্যাহার হবে।
ভাগনারের স্বল্পস্থায়ী এই সশস্ত্র বিদ্রোহের বিষয়ে মস্কোবিরোধী বিভিন্ন পশ্চিমা দেশ তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানায়। তবে রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত চীন এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানানো থেকে বিরত ছিল। এ নিয়ে বেইজিং গতকাল রোববার রাতে প্রথম আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, একটি বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী, একটি নতুন যুগের ব্যাপক কৌশলগত সহযোগিতার অংশীদার হিসেবে জাতীয় স্থিতিশীলতা রক্ষাসহ উন্নয়ন-সমৃদ্ধি অর্জনে রাশিয়াকে সমর্থন করে বেইজিং।
ভাগনার বাহিনীর বিদ্রোহের ইস্যুটি রাশিয়ার অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে মন্তব্য করেছে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
গতকাল চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গ্যাং বেইজিংয়ে রুশ উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রে রুডেনকোর সঙ্গে বৈঠক করেন।
বৈঠক সম্পর্কে বেইজিংয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কিন গ্যাং ও আন্দ্রে রুডেনকো চীন-রাশিয়া সম্পর্ক নিয়ে কথা বলেছেন। তাঁরা স্বার্থসংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সমস্যা নিয়ে কথা বলেছেন।
মস্কোর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দেশের পরিস্থিতি স্থিতিশীল করার জন্য রুশ নেতৃত্বের প্রচেষ্টার প্রতি সমর্থন জানিয়েছে বেইজিং।
চীন-রাশিয়া সাম্প্রতিক বছরগুলোয় অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও কূটনৈতিক যোগাযোগ বাড়িয়েছে। বিশেষ করে, ইউক্রেনে রুশ হামলা শুরুর পর থেকে চীন-রাশিয়ার মধ্যকার কৌশলগত অংশীদারত্ব আরও জোরালো হতে দেখা গেছে।
শুরু থেকেই বেইজিং দাবি করে আসছে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে চীনের অবস্থান নিরপেক্ষ। তবে ইউক্রেনে হামলার জন্য মস্কোর নিন্দা না করাসহ রাশিয়ার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখায় পশ্চিমা দেশগুলো বেইজিংয়ের সমালোচনা করছে।