নরসিংদীর রায়পুরায় আসামি ধরতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন র্যাব সদস্যরা। আসামির স্বজনদের ধারালো অস্ত্রের কোপে এক র্যাব সদস্যের হাতের তিনটি আঙুল বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত আটটার দিকে উপজেলার নিলক্ষা ইউনিয়নের সোনাকান্দী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে র্যাব-১ উত্তরার কোম্পানি কমান্ডার লে. কর্নেল মোস্তাক আহমেদ জানান, গ্রেপ্তারের পরই আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়ার জন্যই র্যাব সদস্যদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। সেখানে কেন এমনটা ঘটল, তা জানার চেষ্টা চলছে।
র্যাব, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ইউনুস আলী (৪০) নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তারের জন্য র্যাব-১ উত্তরার এএসপি তারিকুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল র্যাব সদস্য রায়পুরার নিলক্ষার সোনাকান্দী গ্রামে অভিযান চালায়। রাত আটটার দিকে ইউনুসকে গ্রেপ্তারের পর ফিরে আসার সময় আসামির স্বজন ও স্থানীয় লোকজন বাধা দেন। একপর্যায়ে ধারালো অস্ত্র নিয়ে র্যাব সদস্যদের ওপর হামলা চালিয়ে আসামি ছিনিয়ে নেন তাঁরা। হামলার সময় কনস্টেবল ইমরান হাসানের মাথায় কোপ লাগে এবং তাঁর ডান হাতের তিনটি আঙুল বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ ছাড়া মাসুম বিল্লাহ ও রায়হান নামের আরও দুই র্যাব সদস্য আহত হন।
আহত কনস্টেবল ইমরান হাসানকে দ্রুত নরসিংদী সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। পরে ইমরানসহ আহত ব্যক্তিদের নিয়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকায় রওনা হয় র্যাব-১-এর দলটি।
নরসিংদী সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মাহমুদুল কবির বাসার বলেন, ‘ধারালো অস্ত্রের কোপে মাথার তিন জায়গায় আঘাত ও ডান হাতের তিনটি আঙুল বিচ্ছিন্ন অবস্থায় র্যাব সদস্য ইমরানকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে দ্রুত ঢাকায় রেফার্ড করি আমরা।’
জানতে চাইলে নিলক্ষা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আক্তারুজ্জামান শামীম বলেন, ওই গ্রাম এখন প্রায় পুরুষশূন্য। এর আগেও ওই গ্রামে আসামি ধরতে যাওয়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ওপর হামলার নজির আছে।
রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাফায়েত হোসেন জানান, হামলার ওই ঘটনায় র্যাব-১-এর একজন গুরুতর আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।