বাগেরহাটের রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে অস্ত্রধারীদের হামলা ও দুই আনসার সদস্যসহ ৫ নিরাপত্তাকর্মী আহত হওয়ার ঘটনায় ওই চক্রের ১১ সদস্যকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। ঘটনার পর থেকে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এ সময় একটি দেশীয় একনালা বন্দুকও জব্দ করা হয়। এখনও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাসেলুর রহমান প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার রাসেলুর রহমান বলেন, এটি কোনো ডাকাতির ঘটনা নয়। চুরির উদ্দেশ্যে সংঘবদ্ধ চোরেরা সেখানে আসে। পরে গার্ডদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ বাধে। এমন চুরির ঘটনা এখানে নতুন নয়।
তিনি বলেন, ঘটনার পর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ পর্যন্ত ১১ জনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। সন্দেহভাজনদের কাছ থেকে একটি দেশি একনালা বন্দুক উদ্ধার করা হয়েছে। সেটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে।
রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের উপ-মহাব্যবস্থাপক আনোয়ারুল আজিম বৃহস্পতিবার সকালে জানান, রাত সাড়ে ১১টার দিকে ৫০-৬০ জনের একটি সশস্ত্র ডাকাত দল বিদ্যুৎকেন্দ্রের আবাসিক ভবনে প্রবেশের চেষ্টা করে। তাদের বাধা দিলে অস্ত্রধারীরা গেটে থাকা নিরাপত্তাকর্মীদের ওপর হামলা করে। নিরাপত্তাকর্মীদের চিৎকারে আনসার সদস্যরা ছুটে গেলে, ডাকাতরা আনসার সদস্যদের ওপরও হামলা করে। আত্মরক্ষার্থে আনসার সদস্যরা গুলি চালায়। এতে ডাকাতরা পিছু হটে। তাদের হামলায় দুই আনসার সদস্যসহ ৫ জন আহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে রামপাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে দুইজনে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। অপর ৩ জনকে রামপাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।