দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে হেরে আগেই সিরিজ হাত ছাড়া হয়েছে অস্ট্রেলিয়া। তাই তৃতীয় ম্যাচটি ছিল সম্মান বাঁচানোর ম্যাচ। যেখানে প্রোটিয়াদের নিয়ে রীতিমতো ছেলে খেলা করেছে অজিরা। আগে ব্যাট করতে নেমে ৪৩১ রান করে বেশ কয়েকটি রেকর্ড গড়েছেন হেড-মার্শরা। সেই সঙ্গে এই ম্যাচে ২৭৬ রানের বড় জয় পেয়েছে অজিরা।
২০০৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডের ইতিহাসে প্রথমবার চারশ রানের বেশি দলীয় সংগ্রহের রেকর্ড গড়েছিল অস্ট্রেলিয়া। যদিও সেদিন ৪৩৪ রান করেও তারা ম্যাচটি জিততে পারেনি। কাকতালীয়ভাবে অস্ট্রেলিয়ার ওয়ানডে ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানটাও হলো প্রোটিয়াদের বিপক্ষে।
রোববার (২৪ আগস্ট) টস জিতে আগে ব্যাট করতে ২ উইকেট হারিয়ে ৪৩১ রান করেছে অস্ট্রেলিয়া। যেখানে ওয়ানডের ইতিহাসে প্রথমবার অস্ট্রেলিয়ার তিন টপ অর্ডার ব্যাটার সেঞ্চুরি করলেন।
অজিদের পক্ষে সর্বোচ্চ ১০৩ বলে সর্বোচ্চ ১৪২ রান করেছেন ট্রাভিস হেড। এ ছাড়া অধিনায়ক মিচেল মার্শ ১০৬ বলে ১০০ এবং ক্যামেরন গ্রিন ৫৫ বলে ১১৮ রানে অপরাজিত ছিলেন। আরেক অপরাজিত ব্যাটার অ্যালেক্স ক্যারির ব্যাটেও এসেছে হাফসেঞ্চুরি (৩৭ বলে ৫০)।
এই প্রথম ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়ার দুটি ১৫০–এর বেশি রানের জুটি হয়েছে। যা সবমিলিয়ে ওয়ানডেতে দশমবার। ওপেনিং জুটিতে হেড-মার্শের ২৫০ রান দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে যেকোনো দলের হিসাবে তৃতীয় সর্বোচ্চ।
আরও অনেক রেকর্ড হয়েছে এই ম্যাচটিতে। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ওয়ানডেতে দ্বিতীয় দ্রুততম (৪৭ বল) সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েছেন গ্রিন। সেই সঙ্গে প্রথম তিনি ওয়ানডেতে প্রথম সেঞ্চুরি করেছেন।
এর আগে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ৪০ বলে সেঞ্চুরি করেন ২০২৩ সালে, প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডস। এই ম্যাচ দিয়ে ওয়ানডের এক ইনিংসে পঞ্চমবার কোনো দলের তিন ব্যাটার সেঞ্চুরি করলেন। একই রেকর্ড দক্ষিণ আফ্রিকা তিনবার এবং ইংল্যান্ডের একবার রয়েছে।
ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়ার করা ৪৩১ রান সবমিলিয়ে নবম সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। তবে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ২০১৫ সালে ২ উইকেট হারিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৪৩৯ রান করেছিল প্রোটিয়ারা।
এই ম্যাচে ১৮টি ছক্কা মেরেছেন অজি ব্যাটাররা। যা ওয়ানডেতে ঘরের মাঠে দলটির সর্বোচ্চ এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ (১৯টি ছক্কা হাঁকায় ইংল্যান্ড)। এ ছাড়া ওয়ানডেতে অজিদের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৮টি ছক্কা মারলেন গ্রিন (৯টি ছক্কা রয়েছে রিকি পন্টিংয়ের)।
বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি প্রোটিয়া ব্যাটাররা। মাত্র ১৫৫ রানেই গুঁটিয়ে গেছে তারা। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সর্বোচ্চ ৪৯ রানের ইনিংস খেলেছেন ব্রেভিস। এ ছাড়াও ৩৩ রান করেছেন টনি ডে জর্জি।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সর্বোচ্চ ৫ উইকেট শিকার করেছেন কোপার কোনোলি। এ ছাড়াও জাভিয়ের বার্টলেট ও সেন অ্যাবট দুটি করে এবং এক উইকেট শিকার অ্যাডম জাম্পা।