রাজধানীর হোটেলে সন্তানসহ স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু, ময়নাতদন্তে যা জানা গেল

0
18
রাজধানীর মগবাজারে আবাসিক হোটেলে নিহত হওয়া স্বামী-স্ত্রী ও সন্তান

রাজধানীর মগবাজারে আবাসিক হোটেল থেকে উদ্ধার হওয়া স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানের মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।

সোমবার (৩০ জুন) দুপুর ২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেন ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রভাষক ডা. জাকিয়া তাসনিম।

ময়নাতদন্ত শেষে ডা. জাকিয়া বলেন, ৩ জনের মরদেহের সিমট্রম দেখে আমাদের মনে হচ্ছে, খাদ্যে বিষক্রিয়ায় তাদের মৃত্যু হয়েছে। মরদেহ থেকে ব্লাড ও ভিসেরা সংগ্রহ করা হয়েছে। সেগুলো এনালাইসিসের জন্য মহাখালী পরীক্ষাণাগারে পাঠানো হবে। রিপোর্ট আসলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানাতে পারব।

এর আগে মরদেহ তিনটির সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেন রমনা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. জালাল উদ্দিন।

সুরতহাল রিপোর্টে তিনি উল্লেখ করেন, তিনটি মরদেহের শরীরের কোথাও কোন আঘাতের চিহ্ন নেই। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, খাদ্যে বিষক্রিয়ার ফলে তাদের মৃত্যু হয়েছে।

ময়নাতদন্তের পর মরদেহ তাদের স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, শনিবার (২৮ জুন) রাতে মগবাজারের ‘সুইট স্লিপ’ নামের একটি আবাসিক হোটেল থেকে সৌদি প্রবাসী মনির হোসেন ও তার স্ত্রী-সন্তানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ডাক্তার দেখাতে সপরিবারে ঢাকায় এসেছিলেন তিনি। তবে ডাক্তারের সিরিয়াল না পেয়ে ‘সুইট স্লিপ’ নামের ওই আবাসিক হোটেলে ওঠেন।

পরবর্তীতে সন্ধ্যা পর্যন্ত মনির হোসেনের এক চাচা তাদের সঙ্গে ছিলেন এবং একসঙ্গে খাবার খান। পরে রাতে তিনজনই হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। মনির হোসেনের চাচা জানিয়েছেন, শনিবার ভোরে হোটেল থেকে ফোনে তাকে জানানো হয়, তিনজনই রাতের খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাৎক্ষণিকভাবে তিনি তাদের আদ-দ্বীন হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা সবাইকে মৃত ঘোষণা করেন।

 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.