টানা ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কাপ্তাই হ্রদের তীরবর্তী বসবাসকারী রাঙ্গামাটির ছয়টি উপজেলার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। রাঙ্গামাটি সদরের নিম্নাঞ্চল ছাড়াও জেলার বাঘাইছড়ি, লংগদু, জুরাছড়ি, বরকল ও বিলাইছড়ি উপজেলার নিচু এলাকার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এতে প্রায় ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তবে সরকারিভাবে তালিকা প্রণয়নের কাজ চলছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।
শুক্রবার (৮ আগস্ট) সকালে দেখা যায় রাঙ্গামাটি পৌর এলাকার আসামবস্তি, ব্রাহ্মণটিলা, বাস টার্মিনাল এলাকা ছাড়াও বাঘাইছড়ি উপজেলার আটটি ইউনিয়নের মধ্যে পাঁচটি বঙ্গলতলী, মারিশ্যা, রূপকারী, খেদারমারা, বাঘাইছড়ি ও আমতলী ইউনিয়নের অনেক গ্রাম ফসলের মাঠ পানিতে তলিয়ে গেছে। এ ছাড়া বাঘাইছড়ি পৌর এলাকার ৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৫টি ওয়ার্ড পানিতে তলিয়ে গেছে বন্ধ হয়ে গেছে অভ্যন্তরিণ সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা। কাচালং নদী এবং কাপ্তাই হ্রদের পানি বৃদ্ধির ফলে এই নিচু এলাকাগুলো প্লাবিত হয়েছে। এতে ফসলি জমির ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং নিম্নাঞ্চলের সড়ক প্লাবিত হয়ে মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থার চরম অবনতি হয়েছে।
লংগদু উপজেলার মাইনী নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় সেখানকার ঝরনা টিলা, ভাসাইন্যাদম ইউনিয়ন, বগা চত্বর ইউনিয়নের জালিয়াপাড়া, গুলশাখালী ইউনিয়নের সোনাগাঁও পাড়া, মাইনী ইউনিয়নের এফআইডিসি বড় কলোনি তলিয়ে গেছে। বিলাইছড়ি উপজেলা সদর, ধূপ্পারছড়, বহলতলী, বাঙ্গালকাটা এলাকাসহ নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলগুলোতেও কাপ্তাই হ্রদের পানি প্রবেশ করেছে।
রাঙ্গামাটির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রুহুল আমিন বলেন, জেলায় ২৪৬টি আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত খোলা হয়েছে। এ ছাড়া দুর্গতদের জন্য এক হাজার শুকনো প্যাকেট এবং দুই হাজার কেজি চাল বিতরণ করা হয়েছে।