রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন এখন অনেকটাই জটিল হবে বলে মনে করছেন নিরাপত্তা ও কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা। রাখাইন রাজ্যে অস্থিরতার কারণে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তাও ঝুঁকিতে পড়েছে। তাই সীমান্তে সেনাবাহিনী নিয়োগের পাশাপাশি জটিল পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাংলাদেশকে আরও কৌশলী হওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
থ্রি বাদারহুড অ্যালায়েন্স, সশস্ত্র বিদ্রোহী জোট। যার অন্যতম আরকান আর্মি। স্বাধীন আরাকান রাজ্য প্রতিষ্ঠায় ২০০৯ সালে সংগঠনটির যাত্রা। ২০২১ সালে অং সান সুচিকে ক্ষমতাচ্যুত করে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখলের আগে থেকেই আরাকান আর্মির মজবুত ভিত তৈরি হয়।
যুদ্ধ বিরতি ভেঙে যাওয়ার পর গত নভেম্বর থেকে জান্তা সরকারের সঙ্গে শুরু হয় লড়াই। জান্তা সেনাদের পরাজিত করে একের পর এক জয় ছিনিয়ে নেয় বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি। সবশেষ রাখাইন রাজ্য পুরোটাই দখলে নেয় বিদ্রোহীরা।
তাদের জয় বাংলাদেশের জন্য বড় মাথা ব্যথার কারণ। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন আর সীমান্ত নিরাপত্তা নিয়ে তাই নতুন করে ভাবতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
নিরাপত্তা বিশ্লেষক ইশফাক ইলাহী চৌধুরী বলেন, আবারও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঘটলে তা দেশকে নিরাপত্তা ঝুঁকিতে ফেলতে পারে। তাই সংকট নিরসনে সরকারকে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
সাবেক কূটনৈতিক মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ১৩ লাখের বেশি রোহিঙ্গা ছিল। যার ১০ লাখের বেশি এখন বাংলাদেশে অবস্থান করছে। মিয়ানমারের সীমান্ত এখন আরাকান আর্মির দখলে। এটি আমাদের নিরাপত্তার জন্য একটি বড় সমস্যা।