রাখাইনের বাসিন্দাদের বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকা ছাড়ার আহ্বান

0
79
বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকাগুলো থেকে রাখাইনের বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার আহ্বান
বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকাগুলো থেকে রাখাইনের বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বিদ্রোহী সংগঠন ইউনাইটেড লিগ অব আরাকান। মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর সঙ্গে লড়াইয়ের কারণে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়। রাজ্যটির নিয়ন্ত্রণ দখলে কয়েক সপ্তাহ ধরে সরকারি বাহিনীগুলোর সঙ্গে তীব্র লড়াই চলছে সংগঠনটির সশস্ত্র শাখা আরাকান আর্মির। থাইল্যান্ড-ভিত্তিক বার্মিজ সংবাদমাধ্যম ইরাবতির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
 
ইউনাইটেড লিগ অব আরাকান বলেছে, মংডু শহরের অবশিষ্ট জান্তা ঘাঁটিগুলো ঘেরাও করা হয়েছে। দেশটির সামরিক বাহিনী দীর্ঘদিন ধরে শহরটিকে গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করছে এবং যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করেছে বলে দাবি করা হয়েছে।
 
এ পরিস্থিতিতে যেসব এলাকায় জান্তা বাহিনীর শক্তিশালী অবস্থান রয়েছে অথবা তাদের মোতায়েন করা হয়েছে, সেসব এলাকা থেকে বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ইউনাইটেড লিগ অব আরাকান।
 
এদিকে, মংডুকে অগ্রাধিকার দেওয়ার আগে গত মে মাসের মাঝামাঝি পার্শ্ববর্তী বুথিডাং শহর দখল করে বিদ্রোহীরা। দুটি শহরই বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে উত্তর-পূর্ব রাখাইন রাজ্যে অবস্থিত। এসব এলাকায় মূলত রোহিঙ্গারা বসবাস করেন।
 
গত শুক্রবার এক ঘোষণায় আরাকান আর্মি দাবি করে, তারা এক সপ্তাহে আরও চারটি জান্তা ক্যাম্প দখল করেছে, যার মধ্যে মাওয়ায়াদ্দি স্ট্র্যাটেজিক কমান্ড বেস এবং না খাউং টো ক্যাম্পও রয়েছে। লড়াই চলাকালে তাদের হাতে জান্তা বাহিনীর মাওয়ায়াদ্দির স্ট্র্যাটেজিক কমান্ডার কর্নেল তাইজার হতেসহ প্রায় ২০০ সেনা নিহত হয়েছেন।
 
মিয়ানমার সেনাবাহিনী তাদের আহ লেল থান কিয়াউ ক্যাম্প এবং মাওয়ায়াদ্দি স্ট্র্যাটেজিক কমান্ড বেস উভয়কে রক্ষা করতে বিমান হামলা এবং কামানের গোলা ব্যবহার করেছিল বলে জানানো হয়েছে।
 
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে শহর রয়েছে প্রায় ১৭টি। এর মধ্যে নয়টিরই নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার দাবি করেছে আরাকান আর্মি। গত বছরের নভেম্বর থেকে রাজ্যটিতে জান্তা বাহিনীর সঙ্গে তীব্র লড়াই চলছে তাদের। পার্শ্ববর্তী চিন রাজ্যের পালেতওয়া শহরেরও নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার দাবি করেছে জাতিগত গোষ্ঠীটি।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.