যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যে রিপাবলিকান পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচার চলাকালে এক ব্যক্তিকে কাছের একটি ভবনের ছাদে হামাগুড়ি দিতে দেখেছিলেন একজন। তাঁর হাতে রাইফেলও দেখেছিলেন তিনি। নিরাপত্তা বাহিনীকে সতর্ক করার আগেই ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকেন ওই হামলাকারী।
ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারে থাকা এক প্রত্যক্ষদর্শী বিবিসিকে এমনটাই জানিয়েছেন।
ওই প্রত্যক্ষদর্শী বিবিসিকে বলেন, ‘আমরা দেখেছি, লোকটি (হামলাকারী) হামাগুড়ি দিচ্ছিল…আমাদের কাছেই একটি ভবনের ছাদের ওপর।’ ট্রাম্প বক্তব্য শুরুর করার পাঁচ থেকে সাত মিনিট পর এ দৃশ্য দেখেন তিনি।
ওই ব্যক্তি আরও বলেন, তখন তিনি ও তাঁর বন্ধুরা সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তির উপস্থিতির বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানানোর চেষ্টা করেন। তবে কয়েক মিনিটের মধ্যেই হামলার ঘটনা ঘটে যায়।
হামলার পরে সিক্রেট সার্ভিস এক বিবৃতিতে জানায়, পেনসিলভানিয়ার বাটলারে স্থানীয় সময় শনিবার (১৩ জুলাই) সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারের মঞ্চ লক্ষ্য করে সন্দেহভাজন হামলাকারী একাধিক গুলি ছুড়েছেন। তিনি সমাবেশস্থলের বাইরে থেকেই হামলা চালান। এতে মঞ্চের সামনে দর্শকসারিতে থাকা একজন নিহত হন। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও দুজন। গুলিতে ট্রাম্পের ডান কানের ওপরের অংশে ফুটো হয়ে গেছে। সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যদের গুলিতে সন্দেহভাজন হামলাকারী ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন।
হামলার একটি ভিডিও অনলাইনে ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে দেখা গেছে, ট্রাম্প মঞ্চে দাঁড়িয়ে বক্তব্য দিচ্ছেন। এ সময় হঠাৎ গুলির শব্দ শোনা যায়। সঙ্গে সঙ্গে মঞ্চে বসে পড়েন তিনি। এ সময় তাঁর সমর্থকদের চিৎকার করতে শোনা যায়।
হামলার এ ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে। সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যরা যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে (এফবিআই) ঘটনাটি অবহিত করেছেন বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিবিসির প্রতিবেদনের তথ্য, একতলা একটি ভবনের ছাদ থেকে গুলি করা হয়েছিল। একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী বিবিসিকে এ কথা বলেছেন। তবে বিবিসির পক্ষ থেকে প্রত্যক্ষদর্শীদের এসব কথা নিরপেক্ষভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
ট্রাম্পের প্রচার শিবির জানিয়েছে, রিপাবলিকান পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থীকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প নিজেও এক পোস্টে হামলার বিষয়টি জানিয়েছেন। হতাহত ব্যক্তিদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি।