
রাজশাহীতে নিযুক্ত ভারতের সহকারী হাইকমিশনার মনোজ কুমার গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলবন্দর ও শিবরামপুর জিরো পয়েন্ট পরিদর্শন করেছেন। বুধবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে রহনপুর রেল শুল্ক স্টেশনে তাঁকে স্বাগত জানান সংসদ সদস্য জিয়াউর রহমান।
রহনপুর রেলওয়ে এলসি স্টেশনে বন্দর সুবিধা চালু ও শিবরামপুরে প্রস্তাবিত স্থলবন্দর স্থাপনে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য তাঁর এ সফর বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন রহনপুর পৌর মেয়র মতিউর রহমান খান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বারের সভাপতি আবদুল ওয়াহেদ, রহনপুর রেলবন্দর বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক নাজমুল হুদা খান রুবেল প্রমুখ।
উপস্থিত স্থানীয় নেতৃবৃন্দ রহনপুর-সিঙ্গাবাদ হয়ে রাজশাহী-মালদহ রুটে একটি যাত্রীবাহী ট্রেন চালুর দাবি জানান। পরে সহকারী হাইকমিশনার বাংলাদেশের রহনপুর থেকে ভারতের সিঙ্গাবাদ রেল রুটের জিরো পয়েন্ট শিবরামপুর পরিদর্শনে যান। সেখানে বাঙ্গাবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলামসহ বিজিবি ও বিএসএফের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
রহনপুর রেলবন্দর বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক নাজমুল হুদা খান রুবেল জানান, ব্রিটিশ আমলে চালু হওয়া রহনপুর-সিঙ্গাবাদ রেল রুটটি সম্ভাবনাময়। এ রুট দিয়ে ভারত, নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে অল্প সময়ে কম খরচে পণ্য আনা-নেওয়া সম্ভব। এর আগেও সরকারি উদ্যোগে নেপালে সার রপ্তানিসহ তিন দেশের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য হয়েছে। কিন্তু অদৃশ্য কারণে রুটটি চালু হচ্ছে না। এটিকে পূর্ণাঙ্গ রেলবন্দর হিসেবে ঘোষণা করা হচ্ছে না। স্থানীয়দের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের সহকারী হাইকমিশনার সরেজমিন বন্দর এলাকা পরিদর্শন করেন। আশা করা যায় দ্রুত স্থলবন্দর নির্মাণ করা হবে।
সংসদ সদস্য জিয়াউর রহমান জানান, ভারতীয় সহকারী কমিশনার সম্ভাবনাময় রুট টি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।