বাসায় পোকা মারার কীটনাশক প্রয়োগ, অসুস্থ হয়ে দুই ভাইয়ের মৃত্যু!

0
119
জাহিন, জায়ান ও তাদের বোন। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় একটি বাসায় পোকামাকড় মারার জন্য পেস্ট কন্ট্রোল সার্ভিসের মাধ্যমে কীটনাশক প্রয়োগের পর এর বিষক্রিয়ায় শিশু-কিশোর দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে।

নিহতরা হলো- শায়েন মোবারত জাহিন (১৫) ও শাহিল মোবারত জায়ান (৯)। তারা দুজনেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। এ ঘটনায় তাদের বোন, মা শারমিন জাহান লিমা ও বাবা মোবারক হোসেন বিষক্রিয়ায় অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফিরেছেন।

সোমবার দুপুরে দুই শিশুর মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.আসাদুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘ব্যবসায়ী মোবারক হোসেন তুষার ঢাকা উত্তরা রয়েল ক্লাবের সাবেক সভাপতি। পোকামাকড় নিধনের জন্য তার বাসায় অ্যালুমিনিয়াম ফসফাইড ট্যাবলেট (গ্যাস ট্যাবলেট) ব্যবহার করা হয়েছিল, যা থেকে বিষাক্ত গ্যাস তৈরি হয়। সেই গ্যাসের বিষক্রিয়ায় পরিবারটি হৃদয়বিদারক ঘটনার শিকার হয়েছে।’

পুলিশ ও নিহতদের পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার বসুন্ধরা আই বক্লের নতুন বাসায় স্প্রে পেস্ট কন্ট্রোল সার্ভিসের কর্মীরা এসে কীটনাশক দিয়ে যান। এর ৯ ঘণ্টা পর পরিবারের সদস্যরা বাসায় প্রবেশ করে অসুস্থ হয়ে পড়েন। অসুস্থ অবস্থায় পরিবারের সদস্যদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার ভোরে শাহিল মোবারত জায়ান মারা যায়। শিশুটির দাফন শেষ করে আসতে না আসতেই রোববার রাত ১০টায় বড় ছেলে শায়েন মোবারত জাহিনও মারা যায়।

নিহতের খালা ডা. রওনক জাহান রোজি অভিযোগ করে বলেন, ‘পেস্ট কন্ট্রোল সার্ভিসের অদক্ষ কর্মীদের কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। পেস্ট কন্ট্রোল সার্ভিসের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেও সঠিক উত্তর পাইনি।’

এ বিষয়ে ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)  আসাদুজ্জামান বলেন, ‘দুই শিশু বিষক্রিয়াজনিত কারণে মারা গেছে বলে জানতে পেরেছি। এভারকেয়ার হাসপাতালে মারা যাওয়া ১৫ বছরের ছেলেটির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।’

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.