জি এম কাদের প্রথম আলোকে বলেন, ‘উনি (রওশন এরশাদ) অনেক দিন পর নিজের বাসায় গেছেন, সে জন্য আমরা সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছি। আগামী ১ জানুয়ারি জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে ওনাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তিনি বলেছেন আসবেন।’
১ জানুয়ারি কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান হবে। রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও দলীয় কোনো বিষয়ে আলোচনা হয়েছে কি না, জানতে চাইলে জি এম কাদের বলেন, ‘এসব বিষয়ে তিনি কোনো কথা বলেননি। তিনি আমার ও পরিবারের খোঁজখবর নিয়েছেন।
শারীরিক অসুস্থতার কারণে দীর্ঘদিন ব্যাংককে চিকিৎসাধীন ছিলেন সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ। গত ২৭ নভেম্বর দেশে ফেরেন তিনি। দলে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে রওশন ও জি এম কাদেরের বিরোধ দীর্ঘদিনের। ব্যাংককে থাকাকালে নিজের অনুসারীদের দিয়ে জাতীয় পার্টির সম্মেলনের ডাক দিয়েছিলেন রওশন এরশাদ। এর পাল্টায় রওশনকে সরিয়ে জি এম কাদেরকে সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা করার জন্য স্পিকারের কাছে আবেদন করা হয়।
এ নিয়ে দুই পক্ষের নেতা–কর্মীদের উত্তেজনার মধ্যে দেশে ফিরে জি এম কাদেরসহ দলের সবার সঙ্গে আলোচনা করে ভুল-বোঝাবুঝির অবসান ঘটানোর কথা বলেন রওশন এরশাদ। তার এক দিন পর গত ২৯ নভেম্বর রওশন এরশাদের সঙ্গে দেখা করেন জি এম কাদের। দুজন এক টেবিলে বসে নাশতা করেন। পরে গত ১৩ ডিসেম্বর গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন রওশন এরশাদ ও জি এম কাদের। জাতীয় পার্টি এখন বিএনপির ছেড়ে দেওয়া পাঁচটি সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।