রংপুর মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণার দিন রাতেই বিলুপ্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হাসান ওরফে তারেকের কক্ষ ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসে পিন্নু হোস্টেলে রাকিবুলের ১৭ নম্বর কক্ষে ভাঙচুর করে ছাত্রলীগের একটি অংশ।
গতকাল কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফের স্বাক্ষর করা তিনটি পৃথক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে মেয়াদোত্তীর্ণ রংপুর মহানগর ও রংপুর মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয় এবং রংপুর জেলা ছাত্রলীগের কমিটি স্থগিত করা হয়।
আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রংপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ বিমল চন্দ্র রায় বলেন, ‘ঘটনা ঘটার পরপরই আমরা সেখানে যাই। সেই সঙ্গে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানাই। তাঁরাও সেখানে আসেন। পিন্নু হোস্টেলের ১৭ নম্বর কক্ষের তালা ভেঙে আসবাবপত্রসহ মালামাল ভাঙচুর করা হয়েছে। পরে ঘরে একটি নতুন তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় কলেজের বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের অধ্যাপক রাশেদুল হক রাহেলকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।’
সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল বলেন, কমিটি বিলুপ্তের খবর শুনে সন্ধ্যায় কক্ষ থেকে তিনি বাইরে যান। ফিরে এসে কক্ষের দরজায় নতুন একটি তালা লাগানো দেখতে পেয়ে কলেজ প্রশাসন ও পুলিশকে বিষয়টি জানান। দলের কিছু কর্মীর নেতৃত্বে এই ভাঙচুর করা হয়েছে।
রংপুর মেডিকেল কলেজের ছাত্রলীগের একাধিক নেতা-কর্মীর ভাষ্য, মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ছিল। কমিটি বিলুপ্তের খবর পেয়ে একটি অংশ এই হামলা চালিয়েছে। তবে নির্দিষ্ট করে কারা হামলার সঙ্গে জড়িত, তা জানা যায়নি।
রংপুর মেট্রোপলিটনের কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহফুজার রহমান বলেন, রাতেই তিনি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত, তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।