বিএনপি নেই নির্বাচনী ট্রেনে, অংশ নিচ্ছে ৩০ দল

0
86
নির্বাচন কমিশন

দেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল বিএনপিকে ছাড়াই হতে যাচ্ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ইসি নিবন্ধিত ৪৪ দলের মধ্যে ৩০টি দলের প্রার্থীরা এবারের ভোটে অংশ নিচ্ছেন বলে ইসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। তবে দলগুলোর নাম তাৎক্ষণিক জানাতে পারেনি ইসি।

মনোনয়ন দাখিলের সময় শেষ হওয়ার পর ইসির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সময় শেষ হয়ে গেছে, আর কারও নতুন করে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ নেই।

এর আগে ২০১৪ সালে দশম সংসদের নির্বাচনও বর্জন করেছিল বিএনপি। পরে ২০১৮ সালের একাদশ সংসদের ভোটে অংশ নেয় দলটি। নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার এবং সরকারের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনে থাকা দলটি এ নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার ছিল সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। এবার সারাদেশে সব মিলিয়ে ২ হাজার ৭৪১ প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে ছয় বিভাগে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন ১৮ জন এমপি। বরিশাল বিভাগে জাতীয় পার্টির এক সংসদ সদস্য স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। ৩০০ আসনের মধ্যে বগুড়া-৭ আসনে সর্বোচ্চ ২৫ প্রার্থী এবং সর্বনিম্ন প্রার্থী দিনাজপুর-২ ও ৪ আসনে চারজন করে।

ইসি ঘোষিত তপশিল অনুযায়ী আগামীকাল শুক্রবার থেকে সোমবার পর্যন্ত মনোনয়নপত্র বাছাই করা হবে। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৭ ডিসেম্বর। আজ উৎসবমুখর পরিবেশে সারাদেশের ৬৬ রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়। এ সময় ব্যাপকহারে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটে। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় সর্বোচ্চ পাঁচজনকে সঙ্গে নেওয়ার বিধান থাকলেও এই বিধান বেশির ভাগ প্রার্থীকে মানতে দেখা যায়নি।

ইসি গঠিত ইলেকট্রোরাল ইনকোয়ারি কমিটি এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১৮ প্রার্থীকে আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে কারণ দর্শাতে বলেছে। এই ১৮ জনের মধ্যে দু’জন মন্ত্রী ও তিন প্রতিমন্ত্রীসহ অধিকাংশই বর্তমান সংসদের এমপি। এ ছাড়া ক্রিকেট তারকা সাকিব আল হাসানকেও কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। এই বিধি লঙ্ঘনের দায়ে ৬ মাসের জেল এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে।

এদিকে আজ রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব এবং পুলিশ মহাপরিদর্শক। এ সময় কমিশনের অন্য সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।

পরে ইসি কার্যালয়ের সচিব জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের বলেন, মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় শেষ হয়ে গেছে। আর কারও নতুন করে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ নেই। বিশেষ করে আইজিপি ও জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব রাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সংক্ষিপ্ত আকারে বর্ণনা দিয়েছেন এবং আইজিপিও অবহিত করেছেন। নির্বাচনের অনুকূল পরিবেশ রয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে কমিশনকে জানিয়েছেন।

ইসি সচিব বলেন, বিকেলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব প্রশাসনিক বিষয়ে কোনো নির্দেশনা রয়েছে কিনা তা নিয়ে কমিশনের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন। কমিশন তাঁর বক্তব্য শুনেছেন এবং সে বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন। সেভাবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় পরবর্তী কার্যক্রম নেবে।

ঢাকা বিভাগ

ঢাকা মহানগর ও জেলার ২০টি সংসদীয় আসনে মোট ২২৪ প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের ২০ জন, জাতীয় পার্টির ২১ জন, জাসদের ৩ জন, কিংস পার্টির ৩৩ জন, স্বতন্ত্র ১৮ জন এবং অন্যান্য দলের ১২৯ জন।

ফরিদপুরের চার আসনে ২৬ প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এর মধ্যে ফরিদপুর-১ আসনে আওয়ামী লীগ, বিএনএম, সুপ্রিম পার্টি, জাকের পার্টি ও স্বতন্ত্র হিসেবে ৭ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী ২ জন। ফরিদপুর-২ আসনে আওয়ামী লীগ, জাকের পার্টি ও স্বতন্ত্র হিসেবে মোট ৪ জন জমা দিয়েছেন মনোনয়নপত্র। স্বতন্ত্র প্রার্থী ২ জন। ফরিদপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, বিএনএম, সুপ্রিম পার্টি, বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী ছাড়াও মোট ৮ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থীর মধ্যে এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা এ. কে. আজাদ রয়েছেন।

ফরিদপুর-৪ আসনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে যুবলীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সনসহ জাতীয় পার্টি, জাকের পার্টি, তরীকত ফেডারেশনের মোট সাতজনের মনোনয়ন জমা পড়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থী চারজন।

গাজীপুরের পাঁচটি আসনে মোট ৪৪ প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে গাজীপুর-১ আসনে আওয়ামী লীগের হয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকসহ ৯ জন মনোনয়নপত্র জমা দেন। স্বতন্ত্র একজন। গাজীপুর-২ আসনে আওয়ামী লীগের হয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলসহ মোট ১০ জন। স্বতন্ত্র প্রার্থী দু’জন। গাজীপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের হয়ে সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি রুমানা আলী টুসীসহ মোট ৮ জন মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান এমপি ইকবাল হোসেন সবুজ। গাজীপুর-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়েছেন এমপি সিমিন হোসেন রিমি। স্বতন্ত্র প্রার্থী কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা আলম আহমেদ। গাজীপুর-৫ আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন বর্তমান এমপি মেহের আফরোজ চুমকিসহ ৯ জন। স্বতন্ত্র প্রার্থী একজন।

গোপালগঞ্জের তিনটি আসনে মোট প্রার্থী ২১ জন। গোপালগঞ্জ-১ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের হয়ে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খানসহ মোট পাঁচজন। স্বতন্ত্র প্রার্থী একজন। গোপালগঞ্জ-২ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিমসহ মোট আটজন। স্বতন্ত্র একজন। গোপালগঞ্জ-৩ আসনে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ মোট প্রার্থী আটজন। স্বতন্ত্র একজন।

মানিকগঞ্জের তিনটি আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ৩৩ জন। মানিকগঞ্জ-১ আসনে মোট ১০ জন মনোনয়নপত্র জমা দেন। স্বতন্ত্র দু’জন। মানিকগঞ্জ-২ আসনে মোট মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে ১৪ জনের। স্বতন্ত্র পাঁচজন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকসহ মানিকগঞ্জ-৩ আসনে মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে ৯ প্রার্থীর।

মুন্সীগঞ্জের তিনটি আসনে মোট জমা পড়েছে ৩২ জনের মনোনয়নপত্র। মুন্সীগঞ্জ-১ আসনে প্রার্থী ১১ জন। স্বতন্ত্র তিনজন। মুন্সীগঞ্জ-২ আসনে মোট প্রার্থী ১০ জন। স্বতন্ত্র পাঁচজন। মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনে মোট প্রার্থী ১১ জন। স্বতন্ত্র তিনজন।

নরসিংদীর পাঁচটি আসনে মোট ৪০ প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। নরসিংদী-১ আসনে মোট ১০ জন। স্বতন্ত্র তিনজন। নরসিংদী-২ আসনে মোট প্রার্থী সাতজন। স্বতন্ত্র চারজন। নরসিংদী-৩ আসনে মোট প্রার্থী আটজন। স্বতন্ত্র তিনজন। নরসিংদী-৪ আসনে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনসহ মোট প্রার্থী ছয়জন। স্বতন্ত্র নেই। নরসিংদী-৫ আসনে মোট প্রার্থী ১০ জন। স্বতন্ত্র দু’জন।

কিশোরগঞ্জের ছয় আসনে মোট প্রার্থী ৫৩। কিশোরগঞ্জ-১ আসনে ১২ জন মনোনয়নপত্র জমা দেন। স্বতন্ত্র দু’জন। কিশোরগঞ্জ-২ আসনে মোট প্রার্থী আটজন। স্বতন্ত্র দু’জন। কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুসহ মোট প্রার্থী ১০ জন। স্বতন্ত্র তিনজন।

কিশোরগঞ্জ-৪ আসনে মোট প্রার্থী সাতজন। স্বতন্ত্র নেই। কিশোরগঞ্জ-৫ আসনে সাতজন। স্বতন্ত্র একজন। কিশোরগঞ্জ-৬ আসনে মোট প্রার্থী ৯ জন। স্বতন্ত্র দু’জন।

রাজবাড়ীর দুটি আসনে মোট ১৬ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। রাজবাড়ী-১ আসনে ৯ জন। রাজবাড়ী-২ আসনে সাতজন। স্বতন্ত্র প্রার্থী দুই আসনে পাঁচজন।

শরীয়তপুরের তিনটি আসনে মোট ২২ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন দু’জন।

টাঙ্গাইলের আটটি আসনে মোট ৫৯ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। টাঙ্গাইল-১ আসনে পাঁচজন। টাঙ্গাইল-২ আসনে চারজন। টাঙ্গাইল-৩ আসনে সাতজন। টাঙ্গাইল ৪ আসনে আটজন। টাঙ্গাইল-৫ আসনে ১০ জন। টাঙ্গাইল-৬ আসনে ১১ জন। টাঙ্গাইল-৭ আসনে ৯ জন। টাঙ্গাইল-৮ আসনে পাঁচজন। মোট ১৯ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।

নারায়ণগঞ্জের পাঁচটি আসনে ১৩ জন স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, তৃণমূল বিএনপি ও জাকের পার্টির ৪৫ প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে ১০ জন, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনে ৬, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে ১৩, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে ১১ এবং নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে পাঁচ প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

ময়মনসিংহ বিভাগ

ময়মনসিংহ বিভাগের ২৪টি সংসদীয় আসনে মোট ২০৩ প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির পক্ষে সব আসনে একজন করে প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। এ ছাড়া তৃণমূল বিএনপির ১৫ জন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) আটজন, অন্যান্য দলের ৬৪ জন এবং আওয়ামী লীগের পদধারী স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন ৫০ জন এবং দলীয় পরিচয়হীন স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন ১৮ জন।

স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে বর্তমান এমপি ময়মনসিংহ-৩ আসনের নাজিমউদ্দীন আহমেদ, ময়মনসিংহ-৯ আসনের আনোয়ারুল আবেদীন খান তুহিন, জামালপুর-৪ আসনের ডা. মুরাদ হাসান প্রার্থী হয়েছেন। এ ছাড়া ময়মনসিংহ-৪ আসনে বিএনপির সাবেক এমপি দেলোয়ার হোসেন খান দুলু, ময়মনসিংহ-২ আসনে বিএনপির সাবেক এমপি শাহ্ শহীদ সারোয়ার প্রার্থী হয়েছেন।

খুলনা বিভাগ

খুলনা বিভাগের ১০ জেলার ৩৬ আসনে ৩১৮ প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, জাকের পার্টি, বাংলাদেশ কংগ্রেস, বিএনএফ, তৃণমূল বিএনপি, ওয়ার্কার্স পার্টি, এনপিপি, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তি জোট, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি, জাসদ (ইনু), বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম), এমএল, ইসলামী ঐক্যজোট, গণফ্রন্ট, গণতন্ত্রী পার্টি ও বাংলাদেশ ন্যাশনাল মুভমেন্টের প্রার্থী রয়েছেন। এ ছাড়া ৯৪ স্বতন্ত্র প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে আওয়ামী লীগের পদধারী আছেন ৫৭ জন। মনোনয়নবঞ্চিত বর্তমান এমপিদের মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন চারজন। তারা হলেন– সাতক্ষীরা-২ আসনে মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, মেহেরপুর-২ আসনে সাইদুজ্জামান খোকন, যশোর-৪ আসনে রণজিত রায় ও ঝিনাইদহ-৩ আসনে শফিকুল আজম খান চঞ্চল।

রাজশাহী বিভাগ

রাজশাহী বিভাগের রাজশাহী, নাটোর, পাবনা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁর ২৪ সংসদীয় আসনে ২১৪ প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আওয়ামী লীগ ও বিএনএফ থেকে প্রতি আসনে একজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র ৩৬ জন, স্বতন্ত্র ২০ জন, কিংস পার্টির ১০ জন এবং অন্যান্য দল থেকে ১২৫ প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন।

এর মধ্যে রাজশাহী-১ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের স্ত্রী আয়েশা আখতার ডালিয়া, রাজশাহী ৩ আসনে মনোনয়নবঞ্চিত এমপি আয়েন উদ্দীন, রাজশাহী ৪ আসনে মনোনয়নবঞ্চিত এমপি এনামুল হক, রাজশাহী-৫ আসনে মনোনয়নবঞ্চিত এমপি ডা. মনসুর রহমান, রাজশাহী-৬ আসনে সাবেক এমপি রায়হানুল, নাটোর-১ আসনে সাবেক এমপি ও নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি আবুল কালাম আজাদ, পাবনা-১ (সাঁথিয়া-বেড়া) আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু এমপির বিরুদ্ধে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক আবু সাইয়িদ, পাবনা-২ আসনে সাবেক এমপি জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খন্দকার আজিজুল হক আরজু, নওগাঁ-৩ (মহাদেবপুর-বদলগাছি) ছলিম উদ্দিন তরফদার সেলিম এবং নওগাঁ-৪ (মান্দা) আসনে ইমাজ উদ্দিন প্রামাণিক।

রংপুর বিভাগ

রংপুর বিভাগের আট জেলার ৩৩ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন ২৭৭ প্রার্থী। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের ৩৩, জাতীয় পার্টির ৩৪, কিংস পার্টি ২১, অন্যান্য দলের ১০৪ এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ৮৫ জন। আওয়ামী লীগের পদধারী আছেন ৩৩ জন। গাইবান্ধা-৪ (গোবিন্দগঞ্জ) আসনের মনোনয়নবঞ্চিত বর্তমান এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা মনোয়ার হোসেন চৌধুরী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

সিলেট বিভাগ

সিলেটের ৬টি আসনে ৪৭ প্রার্থীর মধ্যে আওয়ামী লীগের ৬, আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র ৪, জাতীয় পার্টির ৬, তৃণমূল বিএনপির ৬, ইসলামী ঐক্যজোটের ৪, বাংলাদেশ কংগ্রেসের ৩, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের ১, জাকের পার্টির ৩, এনপিপির ৩, গণফোরামের ১, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তি জোটের ১, মুসলিম লীগের ১, ইসলামী ফ্রন্টের ১ জন ও স্বতন্ত্র ১৩ জন। এর মধ্যে সিলেট-১ আসনে ৭ জনের মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ছাড়াও আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, সিলেট-৩ আসনে বিএমএ মহাসচিব ডা. এহতেশামুল হক দুলাল রয়েছেন।

মৌলভীবাজারের ৪টি আসনে ৩৫ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র ৪, জাতীয় পার্টির ৬, তৃণমূল বিএনপির ২, ইসলামী ঐক্যফ্রন্টের ২, জাসদের ২, ওয়ার্কার্স পার্টির ২, জাসদের ২ ও অন্যান্য ১১ জন।

সুনামগঞ্জের ৫টি আসনে মোট ৪১ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের ৫ জন, জাতীয় পার্টির ৫ জন, তৃণমূল বিএনপির ২ জন, গণফ্রন্টের ২ জন, এনপিপির ২ জন সুপ্রিম পার্টির ২ জন, বিকল্পধারা ১ জন, বাংলাদেশ কংগ্রেসের ১ জন, আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র ৮ জন, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের ১ জন, সাংস্কৃতিক মুক্তি জোটের ১ জন ও স্বতন্ত্র ১২ জন।

সিলেটে বাদ পড়া চার এমপির মধ্যে তিনজনই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এরা হচ্ছেন– সুনামগঞ্জ-১ আসনে মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, সুনামগঞ্জ-২ আসনে ড. জয়া সেন গুপ্তা ও হবিগঞ্জ-৪ আসনে আব্দুল মজিদ খান। বঞ্চিত হলেও মনোনয়নপত্র জমা দেননি হবিগঞ্জ-১ আসনের এমপি মিলাদ গাজী।

বরিশাল বিভাগ

বরিশাল বিভাগের ২১ আসনের মধ্যে মোট প্রার্থী ১৬৭ জন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ২১, জাতীয় পার্টির ২২ ও স্বতন্ত্র ৪৭ জন। বরিশাল-৪ আসনে মনোনয়নবঞ্চিত বর্তমান এমপি পঙ্কজ নাথ ও পিরোজপুর-৩ আসনে জাপার রুস্তম ফরাজী স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। আ’লীগের সাবেক এমপিদের মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন ৩ জন। তারা হলেন– ভোলা-৩ এ মেজর (অব.) জসিম উদ্দিন, পটুয়াখালী-৪ মাহবুবুর রহমান তালুকদার এবং পিরোজপুর-১ এ আউয়াল হোসেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.