মে-জুন মাসকে আন্দোলনের উপযুক্ত সময় মনে করছে বিএনপি

0
108

সরকারের পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবি আদায়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে আন্দোলনে যেতে চায় বিএনপি। আগামী জুনের মধ্যে আন্দোলনের ফসল ঘরে তুলতে এখনই সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিতে সমমনা রাজনৈতিক জোট ও দলের শীর্ষ নেতাদের আহ্বান জানিয়েছে দলটি।

মঙ্গলবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাত দলীয় জোট গণতন্ত্র মঞ্চের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে দলটির নেতারা এ আহ্বান জানান। বৈঠকে আন্দোলনের জন্য অভিন্ন রূপরেখা ঘোষণা নিয়ে আলোচনা করেন নেতারা। এতে উভয় পক্ষ দ্রুত সময়ের মধ্যে এ ঘোষণার বিষয়ে একমত পোষণ করে।

বৈঠক সূত্র জানায়, এই সরকারকে আর সময় দিতে চায় না বিএনপি। আগামী জুনের শেষে ঈদুল আজহা। ধর্মীয় উৎসব কাটিয়ে উঠতে জুলাইয়ের মাঝামাঝি চলে যাবে। এরপরে এইচএসসি পরীক্ষা, বর্ষাকাল রয়েছে। পরে আগস্ট শোকের মাস। এরপর নির্বাচনী রোডম্যাপে প্রবেশ করতে পারে ক্ষমতাসীনরা। এ কারণ মে ও জুন মাসকেই আন্দোলনের জন্য যথোপযুক্ত মনে করছেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা। আন্দোলনের জন্য বিএনপি ও সমমনা জোটের নেতারা গতানুগতিক কর্মসূচি না দিয়ে রোডমার্চ, ক্রস রোড মার্চ, লংমার্চের মতো কর্মসূচির কথা ভাবছেন।

সবশেষে ঢাকামুখী কর্মসূচি, ঢাকা ঘেরাও, গণভবন ঘেরাও, ঢাকাসহ সারাদেশে অবস্থান কর্মসূচি দিতে চায়। এর আগে প্রত্যেক সিটি করপোরেশন এলাকায় সমাবেশ কর্মসূচি পালন করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত রয়েছে।

সূত্র জানায়, আন্দোলনের আগে নিয়ামক শক্তি হিসেবে ছাত্র, শ্রমিক, পেশাজীবী ও সুশীল সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করার উদ্যোগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এজন্য সমমনা সব রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠন, শ্রমিক সংগঠনকে এক প্লাটফর্মে নিয়ে আসারও পরিকল্পনা রয়েছে।

বেলা ১১টা থেকে দুই ঘণ্টার বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বৈঠকে চলমান আন্দোলন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যুগপৎ আন্দোলনকে আরও শক্তিশালীভাবে সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য যেসব কর্মসূচি নেওয়া প্রয়োজন সেগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি।

তিনি বলেন, অভিন্ন যৌথ ঘোষণার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। গণতন্ত্র মঞ্চসহ অন্যান্য যতগুলো দল সরকারের বিরুদ্ধে যুগপৎ আন্দোলনে আছে তাদের সবার মতামতের ভিত্তিতে জাতির সামনে যৌথ ঘোষণা দেব। এটা খুব তাড়াতাড়ি হবে।

গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক, রাষ্ট্রসংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম বলেন, অতীতে আন্দোলনে বাংলাদেশে যেভাবে সরকার পরিবর্তন হয়েছে, বর্তমানের আন্দোলন এর চাইতে আলাদা। এই আন্দোলন কেবলমাত্র সরকার পরিবর্তনের জন্য নয়। এই সরকার বদল এবং এই যে স্বৈরতান্ত্রিক সরকারগুলো ক্ষমতায় আসীন হয় তাদের কাঠামো বদলের জন্য রাষ্ট্রের সংস্কার কিংবা মেরামতের জন্য সরকার পরিবর্তনে কাজ করছি।

বৈঠকে গণতন্ত্র মঞ্চের নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু এবং জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহিদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন উপস্থিত ছিলেন। বিএনপির আমির খসরুর সঙ্গে ছিলেন দলের যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.