যে রেস্তোরাঁয় এক খাবার চাইলে আসে ভিন্ন খাবার

0
133
রেস্টুরেন্ট অব মিসটেকেন অর্ডারসে খাবার পরিবেশন করেন স্মৃতিভ্রংশের রোগীরা।

আপনি রেস্তোরাঁয় গিয়ে খাবারের অর্ডার দিয়ে যথারীতি অপেক্ষা করছেন। খিদেয় পেট চোঁ চোঁ করছে। এরপর টেবিলে যখন খাবার এল দেখলেন আপনি যা অর্ডার করেছেন তা নয়, এসেছে ভিন্ন খাবার। নিশ্চয় আপনি বিরক্ত হবেন। অভিযোগ করবেন। কিন্তু যখন জানবেন, যিনি খাবার পরিবেশন করছেন, তিনি ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিভ্রংশ রোগে আক্রান্ত মানুষ। এমন মানুষদের নিয়ে পরিচালিত হচ্ছে জাপানের টোকিওতে রেস্টুরেন্ট অব মিসটেকেন অর্ডারস।

এই রেস্তোরাঁর লক্ষ্য হলো, প্রতিবন্ধী মানুষদের সঙ্গে নিয়ে চলা, তাদের প্রতিবন্ধকতা দূর করা ও তাদের সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করা।

এই রেস্তোরাঁর এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে বিশ্ববাসীর নজর কাড়ে। ভিডিওতে ভুল খাবার পরিবেশন করার পর এক গ্রাহকের অভিব্যক্তি এবং খাবার পরিবেশনকারী ও গ্রাহকের মধ্যকার কথাবার্তা রয়েছে।

রেস্তোরাঁর ওয়েবসাইট মিসটেকেনঅর্ডারস ডটকমে বলা আছে, বিজ্ঞাপন খাতে বিশ্বের মর্যাদাপূর্ণ সৃজনশীল অ্যাওয়ার্ড দ্য কেনস লায়ন পেয়েছে তারা।

এই রেস্তোরাঁর মালিক শিরো অগোনি প্রতিবন্ধী মানুষদের সঙ্গে কেমন আচরণ করতে হবে, সে বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করতে এই রেস্তোরাঁ করেন। এটি চালু হয় ২০১৭ সালে। এর পর থেকে বেশ সাফল্যের সঙ্গে চলছে এই রেস্তোরাঁ।

রেস্তোরাঁটি এই ধরনের মানুষদের সমাজে টিকে থাকতে, কাজ করতে ও নিজেদের যোগ্যতার বিকাশ ঘটাতে উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করে দেয়। এর বাইরে অন্য উদ্যোক্তদেরও এ ধরনের মানুষদের জন্য কাজের সুযোগ তৈরি করতে উৎসাহিত করাও তাদের একটি লক্ষ্য। রেস্তোরাঁর ৯৯ শতাংশ গ্রাহক এখানকার সেবা পেয়ে সন্তুষ্ট। তাঁরা অভিযোগ না করে বরং হাসেন। যদিও তাঁদের ৩৭ শতাংশ ভুল করেন।

অগোনি বলেন, রেস্তোরাঁটির অভ্যন্তরে রয়েছে আধুনিকতার ছাপ। বেশির ভাগ খাবার পরিবেশনকারীই বয়স্ক ও স্মৃতিভ্রংশ রোগী এবং প্রায়ই ভুলভাল খাবার পরিবেশন করেন। গ্রাহকেরা ভুল খাবার পেলেও হাসেন। এটি রেস্তোরাঁর চেয়ে বেশি কিছু।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.