ভোট দিচ্ছেন গাজীপুর নগরবাসী

0
111
টঙ্গীর দারুস সালাম মাদ্রাসা কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট চলবে।

টঙ্গীর ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডের দারুস সালাম মাদ্রাসা কেন্দ্রে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টার পর ভোটারদের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। এই কেন্দ্রে  ৮টা ৫ মিনিটে ভোট গ্রহণ শুরু হয়।

বুথের সামনে ভোটারদের ভিড়

টঙ্গীর ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডের দারুস সালাম মাদ্রাসা কেন্দ্রে ৮টি বুথের মধ্যে ২টিতে সাময়িক ত্রুটি দেখা দেয়। এজন্য এই দুই বুথে আসা ভোটাররা বিড়ম্বনায় পড়েন। পরে ইভিএম দুটি মেরামত করা হয়।

জানা গেছে, ভোট দিতে গিয়ে তারের সঙ্গে পা লেগে একটি ইভিএমের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এতে এই বুথে প্রায় আধা ঘণ্টা ভোট গ্রহণ বন্ধ ছিল।

এ বিষয়ে কেন্দ্রের পিসাইডিং অফিসার জাকির হাসান তালুকদার বলেন, দুইটা বুথে ইভিএমে সাময়িক সমস্যা দেখা দিয়েছিল। একটা বুথে পা লেগে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। অন্যটাতে কারিগরি ত্রুটি দেখা দিয়েছিল। এগুলো আমরা ঠিক করেছি।

এই নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থী দিয়েছে পাঁচটি দল। তিন স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ ভোটের মাঠে রয়েছেন আট মেয়র প্রার্থী। বিএনপিসহ তাদের মিত্ররা ভোট বর্জন করেছেন।

মেয়র পদে আটজন লড়লেও আলোচনায় রয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী আজমত উল্লা খান এবং সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা স্বতন্ত্র প্রার্থী টেবিল ঘড়ি প্রতীকের জায়েদা খাতুন।

এদিকে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন ঘিরে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ইভিএমসহ অন্য নির্বাচনী সরঞ্জাম কেন্দ্রে পাঠানো হয় বুধবার দুপুরের পর থেকেই। মহানগরের পৃথক পাঁচটি আঞ্চলিক কেন্দ্র থেকে এসব নির্বাচনী সরঞ্জাম বিতরণ করা হয়।

টঙ্গীর দারুস সালাম মাদ্রাসা কেন্দ্র। ছবি-সাহাদাত হোসেন পরশ

৩২৯ বর্গকিলোমিটার আয়তনের গাজীপুর সিটির তৃতীয় নির্বাচনে ৫৭টি ওয়ার্ডে রয়েছে ৪৮০টি ভোটকেন্দ্র। সব কেন্দ্রে ইভিএমের মাধ্যমে হবে ভোট গ্রহণ। এসব কেন্দ্রে লাগানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা। এসব ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৩৫১টি ঝুঁকিপুর্ণ এবং ১২৯টি সাধারণ কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

১৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী ফয়সাল আহমেদ সরকার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁকে নিয়ে এবার নির্বাচনে মোট প্রার্থী ৩৩১ জন। এর মধ্যে সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী ২৪৬ জন। সংরক্ষিত প্রার্থী ৭৮ জন।

নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম বুধবার জানিয়েছেন, গাজীপুর সিটিতে ৪৮০টি কেন্দ্রে মোট ৪ হাজার ৪৩৫টি সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। এর ফলে সব কেন্দ্র সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় থাকবে। এসব ক্যামেরার মাধ্যমে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবে নির্বাচন কমিশন। তিনি জানান, প্রতিটি কেন্দ্রে অতিরিক্ত ভোটিং মেশিন রাখা হচ্ছে। মেশিন মেরামতের জন্য ট্রাবলশুটার রাখা হয়েছে। নির্বাচনে ৫ স্তরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করে গাজীপুরকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়া হয়েছে।

নির্বাচন উপলক্ষে এরই মধ্যে বিজিবি, র‍্যাব, পুলিশ, আনসারসহ বিভিন্ন বাহিনীর সদস্য গাজীপুরে রয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অন্তত ১৩ হাজার সদস্য মোতায়েন রয়েছে। তাঁদের মধ্যে সাড়ে ১১ হাজার সদস্যকে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে বাইরে থেকে গাজীপুরে আনা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার জন্য ১৯ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত আছেন। প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসার সমন্বয়ে পুলিশের মোবাইল ফোর্স রয়েছে। এ ছাড়া ৮টি থানা এলাকায় ৮টি রিজার্ভ স্ট্রাইকিং ফোর্স ও প্রতি ৩টি সাধারণ ওয়ার্ডে একটি করে পুলিশের মোট ১৯টি স্ট্রাইকিং ফোর্স দায়িত্ব পালন করবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.