অ্যামাজন প্রাইম ভিডিওর ‘দাহাড়’-এ সোনাক্ষীকে দুঁদে পুলিশ অফিসারের চরিত্রে দেখা গেছে। এই সিরিজে বেশির ভাগ সময়ই তাঁকে প্রায় মেকআপহীন অবস্থায় পাওয়া গেছে। তবে সঞ্জয় লীলা বানসালির ‘হীরামন্ডি’তে এক রূপসী গণিকা তিনি। তাঁর রূপের ছটা অনেককে ঘায়েল করবে। কয়েক মাস আগে সিরিজের প্রথম পোস্টার প্রকাশ্যে এসেছিল। তখনই সোনাক্ষীর সাবেকি রূপ মুগ্ধ করেছে সবাইকে। এমনকি তাঁর রূপে মুগ্ধ বানসালি নিজে। সোনাক্ষী এক সাক্ষাৎকারে এ কথা ফাঁস করেছেন।
সম্প্রতি বলিউড লাইফ এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। যেখানে সোনাক্ষী বলেছেন, ‘এসএলবির (সঞ্জয় লীলা বানসালি) নায়িকা হওয়া আমার জন্য অত্যন্ত বড় ভাগ্যের কথা। ছায়াছবির দুনিয়ার প্রত্যেক অভিনেত্রীর স্বপ্ন দেখেন, বানসালির ছবির নায়িকার হওয়ার। নারী চরিত্রগুলোকে পর্দায় শক্তিশালী করে তুলে ধরার এক অদ্ভুত ক্ষমতা আছে তাঁর মধ্যে। এসব চরিত্র ভারতীয় সিনেমার ক্ষেত্রে এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করে।’
বানসালির পরিচালনায় কাজ করার অভিজ্ঞতার প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেছেন, ‘মনে হচ্ছিল যেন চোখের সামনে এক ম্যাজিক শো দেখছি। এই ম্যাজিক শো থেকে একের পর এক পর্দা সরে যাচ্ছে। এই ঐন্দ্রজালিক আবহ একমাত্র তিনিই সৃষ্টি করতে পারেন। বানসালি স্যার সেসব পরিচালকদের একজন, যিনি অভিনেতাদের সবচেয়ে সুন্দর করে পর্দায় তুলে ধরতে পারেন। তাঁর পরিচালনায় কাজ করা আমার জন্য অত্যন্ত বিশেষ কিছু।’
এত দিন বানসালি পরিচালিত ছবিতে সুযোগ পাননি বলে এক আক্ষেপ ছিল সোনাক্ষীর। ‘হীরামন্ডি’ দিয়ে সেই আক্ষেপ ঘুচে গেছে। উপরি পাওনা হিসেবে পেয়েছেন পরিচালকের এক ঝুড়ি প্রশংসা। এই বলিউড নায়িকা বলেছেন, ‘সেটে তিনি (বানসালি) আমার লুক ও আমার অভিনয়ের প্রশংসা করতেন। আর এভাবে তিনি আমাকে আরও উৎসাহ জোগাতেন। তিনি বলতেন, আমি প্রকৃত ভারতীয় সৌন্দর্য। সত্যি বলতে তাঁর মতো এত বড় মানুষের থেকে এসব প্রশংসা ভরা শব্দ আমার মধ্যে খিদেটা আরও বাড়িয়ে দিয়েছিল। আমার সেরাটা উজাড় করে দিতে চাইতাম।’
সঞ্জয় লীলা বানসালি পরিচালিত ‘হীরামন্ডি’ সিরিজটি নেটফ্লিক্সে মুক্তি পাবে। এই সিরিজে সোনাক্ষী ছাড়াও আছেন মনীষা কৈরালা, অদিতি রাও হায়দারি, রিচা চাড্ডা, সঞ্জীদা শেখ, শারমিন শেগালসহ অনেকে। চলতি মাসেই সিরিজটির শুটিং শেষ হবে বলে জানা গেছে। এই সিরিজটির গল্প বোনা হয়েছে পাকিস্তানের লাহোরের হীরামন্ডি জেলার গণিকাদের তিন প্রজন্ম ঘিরে।