যুবলীগ নেতা হত্যায় ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৮ জনের যাবজ্জীবন

0
53
জেলা দায়রা জজ আদালত কুমিল্লা

কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে পূর্বশত্রুতার জেরে যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর হোসেনকে হত্যার দায়ে দশজনকে মৃত্যুদণ্ড ও আটজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) কুমিল্লার জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল বিশেষ দায়রা জজ আদালতের বিচারক বেগম মোছা. মরিয়ম মুন মুঞ্জুরী এই রায় ঘোষণা করেন।

জাহাঙ্গীর মনোহরগঞ্জের সরসপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ছিলেন।

রায় ঘোষণাকালে দণ্ডপ্রাপ্ত ১৮ জনের মধ্যে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৮ জন আদালত কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১০ জনই অনুপস্থিত ছিলেন।

মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. মোবারক হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ বাতাবাড়িয়া গ্রামের তাজুল ইসলামের তিন ছেলে মো. রিয়াদ হোসেন, মীর হোসেন, আনোয়ার হোসেন, সামছুল হক পাটোয়ারীর দুই ছেলে মো. ইউসুফ, মো. ইসমাইল হোসেন, ছালেহ আহম্মদের ছেলে মিশু, শহীদ উল্লাহ মেম্বারের ছেলে মো. রাজন, তাজুল ইসলামের ছেলে মানিক মিয়া, আবুল হোসেনের ছেলে মো: মিজানুর রহমান, একই এলাকার সুলতান আহমেদের ছেলে মো. রাশেদ।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, একই এলাকার তাজুল ইসলামের ছেলে নোমান, সিরাজুল ইসলামের ছেলে সালাহ উদ্দিন, হাজী আবদুস সামাদের ছেলে আবুল কাশেম ওরফে পিচ্চি কাশেম, মৌলভী আলী আকবরের ছেলে মো. শহীদউল্লা মেম্বার, নূর আহম্মদের দুই ছেলে মো. সালেহ আহম্মদ ও মো. সোহাগ, মৃত সফিকুর রহমানের ছেলে মো. স্বপন, মৃত সুলতান আহম্মদের ছেলে মো. রাশেদ, মৃত মন্তাজুর রহমানের ছেলে মো. টিপু।

মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ১৩ মে পূর্বশত্রুতার বিরোধের জের ধরে পরিকল্পিতভাবে মনোহরগঞ্জ দক্ষিণ বাতাবাড়িয়ার যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলমের বাড়িতে হামলা চালায় আসামিরা। এ সময় তারা চাপাতি, চাইনিজ কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে জাহাঙ্গীরকে হত্যা করেন। এ ঘটনায় নিহত জাহাঙ্গীর আলমের ভাই মো. আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে ২০ জনকে আসামি করে মনোহরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মনোহরগঞ্জ থানার এসআই মো. নাছির উদ্দিন আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের ৮ জুন তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেন। ২০১৯ সালের ১৩ অক্টোবর মামলাটির চার্জগঠন করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষে ১২ জন সাক্ষ্য ও যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত এ রায় দেন। মামলার রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. মোবারক হোসেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.