২০২২ সালে ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনের ওপর পূর্ণমাত্রার সামরিক আগ্রাসন চালানোর পর থেকে ফুটবলকে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা থেকে নিষিদ্ধ করেছে ফিফা ও উয়েফা। যার ফলে বিশ্বকাপ বাছাইয়েও অংশ নিতে পারেনি দেশটি। তাই নিষেধাজ্ঞা উঠলেও আসন্ন ২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপ অংশ নিতে পারবে না রাশিয়া।
আর এই বিষয়টিকেই ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধের টাম কার্ড হিসেবে ব্যবহার করতে চান যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপে অংশ নেওয়ার সুযোগ রাশিয়ার জন্য ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের একটি কার্যকর ‘প্রণোদনা’ হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।
আগামী বছরের জুনে ৪৮ দল নিয়ে অনুষ্ঠিত হবে ২০২৬ বিশ্বকাপ। যার অন্যতম সহ-আয়োজক যুক্তরাষ্ট্র। বাকি দুই দেশ কানাডা ও মেক্সিকো। বিশ্বকাপের ১০৪টি ম্যাচের মধ্যে ৭৮টি-ই অনুষ্ঠিত হবে যুক্তরাষ্ট্রে। টুর্নামেন্ট প্রস্তুতি টাস্কফোর্সের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ট্রাম্প।
মঙ্গলবার (৬ মে) টাস্কফোর্সের প্রথম বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ফিফার প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেখানে উঠে আসে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রসঙ্গ। এ সময় ট্রাম্প বলেন, আমি জানতাম না রাশিয়া নিষিদ্ধ। এটা তো খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
ইনফান্তিনো উত্তরে বলেন, ‘হ্যাঁ, আপাতত তারা নিষিদ্ধ। তবে আমরা আশা করি, ভবিষ্যতে শান্তি আসবে এবং তখন রাশিয়াও খেলায় ফিরতে পারবে।’
ট্রাম্প বলেন, হতে পারে, এটা ভালো একটি প্রণোদনা। আমরা চাই যুদ্ধ থামুক। প্রতি সপ্তাহে প্রায় পাঁচ হাজার তরুণ নিহত হচ্ছে। এটা যেন বিশ্বাসই করা যায় না।
এরপর ট্রাম্প প্রশ্ন করেন, যদি যুদ্ধ বন্ধের ঘোষণা আসে তাহলে পরবর্তী বিশ্বকাপে রাশিয়া অংশ নিতে পারবে কি না। তবে ট্রাম্পের জানা নেই যে, বাছাইপর্ব খেলতে না পারায় রাশিয়ার সামনে পরবর্তী মানে ২০২৬ বিশ্বকাপে অংশগ্রহণের কোনো সুযোগ-ই নেই।
এর আগে, নির্বাচনী প্রচারে ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, ২০২৪ সালের নির্বাচনে জিতলে অফিসে প্রথম দিনই ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটাবেন তিনি। নিজের সে কথা রাখার চেষ্টা করছেন তিনি।