সেলিম জাহাঙ্গীর বলেন, ‘আমার ভাতিজা শান্তশিষ্ট, ভালো ছেলে। তাকে পুলিশ কেন গুলি করল বুঝতে পারছি না।’
সিবিএস নিউজের খবরে বলা হয়েছে, বুধবার বেলা সোয়া ১টার দিকে কেমব্রিজের একজন বাসিন্দা ৯১১–এ ফোনে করে জানান একজন ব্যক্তি একটি অ্যাপার্টমেন্টের জানালা দিয়ে লাফিয়ে পড়েছেন। তাঁর হাতে চাপাতির মতো ধারাল অস্ত্র রয়েছে বলে মনে হচ্ছে। পুলিশ গিয়ে সিডনি স্ট্রিটের একটি ভবনের পেছনে ওই ব্যক্তিকে দেখতে পায়। পরে জানা গেছে তিনি ২০ বছর বয়সী সাঈদ ফয়সাল। পুলিশ যাওয়ার পর ফয়সাল অস্ত্র হাতে সেখান থেকে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। পরে দেখা গেছে তাঁর একটি এক ফুট লম্বা একটি ছোরা ছিল।
মিডলসেক্স ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নির অফিস এ ঘটনার তদন্ত করছে। অ্যাটর্নি মারিয়ান রায়ান বলেছেন, ফয়সাল যখন অস্ত্র নিয়ে ভয় দেখাচ্ছিল তখন তাঁকে আটকানোর জন্য বেশ কয়েকবার বাধা দেওয়া হয়েছিল। তবে ফয়সাল ছোরা নিয়ে পুলিশ কর্মকর্তাদের দিকে তেড়ে আসছিলেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, একজন পুলিশ কর্মকর্তা প্রাণঘাতী নয় এমন অস্ত্র ব্যবহার করলেও ফয়সালকে আটকাতে পারেননি। তিনি ছোরা নিয়ে পুলিশের দিকে তেড়ে আসতে থাকে। এক পর্যায়ে একজন পুলিশ কর্মকর্তা গুলিবর্ষণ করেন এবং তাতে ফয়সাল বিদ্ধ হন।
ঘটনার পর ফয়সালকে উদ্ধার করে ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
কেমব্রিজ পুলিশ কমিশনার ক্রিস্টিন এলো বলেছেন, ‘আমাদের অফিসাররা বেশ কয়েকবার ওই ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন। ওই যুবকের দেখা পাওয়ার পর তাঁকে নাগালে পেতে পাঁচটি ব্লকের বেশি এলাকায় চেষ্টা চালানো হয়। আমরা পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য বেশ কয়েকবার চেষ্টা করেছি।’
ফয়সালকে গুলিবর্ষণকারী পুলিশ সদস্যকে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে বলে সিবিএস নিউজ জানিয়েছে। তবে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং দোষী পুলিশ কর্মকর্তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন ফয়সালের চাচা সেলিম জাহাঙ্গীর। তিনি বলেন, এ ঘটনায় স্থানীয় বাঙালি কমিউনিটির মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবিতে কমিউনিটির সদস্যরা প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করবেন।
ঘটনা সম্পর্কে পুলিশের বক্তব্য নাকচ করে সেলিম জাহাঙ্গীর বলেন, ফয়সালের হাতে ছুরি থাকার কোনো ভিডিও তাঁদের কেউ এখন পর্যন্ত দেখাতে পারেননি।