যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় আক্রান্তের ৩৯-৫০ শতাংশের জন্য দায়ী জেএন.১ ধরন: সিডিসি

0
99
সিডিসি বলেছে, করোনাভাইরাসের জেএন.১ উপধরনে আক্রান্তের হার ক্রমে বাড়ছে।

যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ৩৯ থেকে ৫০ শতাংশই জেএন.১ উপধরনে আক্রান্ত হচ্ছেন। দেশটির রোগনিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি) সংক্রমণের প্রবণতা বিশ্লেষণ করে এ কথা জানিয়েছে।

গতকাল শুক্রবার সিডিসির পক্ষ থেকে ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত সংক্রমণের সম্ভাব্য এ চিত্রের কথা জানানো হয়েছে।

এর আগে ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত সংক্রমণের প্রবণতার ভিত্তিতে সিডিসির পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের ১৫ থেকে ২৯ শতাংশের জন্য দায়ী হবে জেএন.১ উপধরন।

তবে গতকাল সিডিসি বলেছে, করোনাভাইরাসের জেএন.১ উপধরনে আক্রান্তের হার ক্রমে বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রে এখন করোনার যতগুলো ধরনে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন, তার মধ্যে এ ধরন সবচেয়ে বেশি ছড়িয়েছে। সিডিসি মনে করে, যে হারে উপধরনটি ছড়াচ্ছে, তাতে ধারণা করা হচ্ছে, এটি অপেক্ষাকৃত বেশি সংক্রামক নয়তো অন্য ধরনগুলোর তুলনায় এটি রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা (ইমিউন সিস্টেম) ভেদ করতে বেশি পারদর্শী।

সিডিসি বলেছে, জেএন.১-এর কারণে সংক্রমিত হওয়া ও হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার হার বাড়বে কি না কিংবা কতটা বাড়তে পারে, তা বলার সময় এখনো আসেনি। তবে তারা বলছে, করোনা মোকাবিলায় এখন যেসব টিকা প্রয়োগ, পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও চিকিৎসাপদ্ধতি ব্যবহার করা হয়, সেগুলো জেএন.১-এর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।

গত মঙ্গলবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জেএন.১ উপধরনকে ‘ভেরিয়েন্ট অব ইন্টারেস্ট’ ঘোষণা করেছে। তারা আরও বলেছে, এখন পর্যন্ত যেসব তথ্য পাওয়া গেছে, তার ভিত্তিতে বলা যায়, এই উপধরনে আক্রান্ত ব্যক্তিদের স্বাস্থ্যঝুঁকি কম।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.