ইসরায়েলকে সামরিক সহায়তার ঘোষণায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত ফিলিস্তিনিরা। প্রতিবাদ জানাতে মাতৃভূমির পতাকা বুকে জড়িয়ে রাস্তায় বেরিয়েছেন শত শত ফিলিস্তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে শুধু স্লোগানই নয়, তারা জানিয়েছেন অভিনব প্রতিবাদ। বিভিন্ন সড়কে উড়িয়ে দিয়েছেন ফিলিস্তিনের পতাকা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন ছবিতে দেখা যায়, বিক্ষোভ মিছিলের একপর্যায়ে মার্কিন পতাকার পাশে টাঙিয়ে দেওয়া হচ্ছে ফিলিস্তিনের পতাকা।
হোয়াইট হাউস, টাইমস স্কয়ারসহ দেশটির গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ মিছিল বের করেন শত শত ফিলিস্তিনি। প্ল্যাকার্ড আর স্লোগানে মুখরিত ছিল এসব সড়ক।
ইসরায়েলকে জঙ্গিবিমান আর যুদ্ধজাহাজ দেওয়ায় ধিক্কার জানান বিক্ষোভকারীরা। বলেন, প্রতিরোধ গড়া কোনোভাবেই সন্ত্রাসী কার্যক্রম নয়। তাই যুক্তরাষ্ট্র নিরীহ ফিলিস্তিনিদের মারতে যেভাবে অস্ত্র সহায়তা দিচ্ছে, তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়ার মতো নয়। এ সময় নেতানিয়াহু সরকারকে তহবিল পাঠানো বন্ধ করতে আহ্বান জানান তারা।
ইসরায়েলের প্রতি হামাসের হামলার সমর্থনে গত রোববার হোয়াইট হাউসের সামনে জড়ো হন ফিলিস্তিনিরা। তারা বলেন, নিজেদের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে দিনের পর দিন লড়াই করে যাচ্ছে গাজাবাসী।
এদিন ইসরায়েলকে সমর্থন জানাতে পাল্টা মিছিল বের করেন আমেরিকায় বসবাসকারী ইসরায়েলিরা। বিশেষ করে তাদের সরকারের পাশে থাকার জন্য বাইডেন প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান। একই জায়গায় ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিরা বিক্ষোভ ডাকায় চির বৈরী দুই দেশের বাসিন্দাদের মধ্যে হাতাহাতি পর্যন্ত হয়েছে।
শনিবার হঠাৎই ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে মুহুর্মুহু হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। তাদের দাবি, দশকের পর দশক ধরে তাদের ওপর নির্যাতনের প্রতিবাদে এমন হামলা চালানো হচ্ছে।
আমেরিকার ধারণা, ইসরায়েল ও সৌদি আরবের মধ্যকার চলমান শান্তি আলোচনা বিঘ্নিত করতে এই হামলা চালাতে পারে হামাস। আমেরিকার এমন ঘোষণাকে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে আগ্রাসন বলে আখ্যা দেয় হামাস। এক বিবৃতিতে তারা জানায়, আমেরিকার এই ঘোষণা প্রমাণ করে তারা দখলদারদের সমর্থনে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করে ফিলিস্তিনিদের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে।