এই আটটি দেশ হচ্ছে বসনিয়া ও হার্জেগোভেনিয়া, গাম্বিয়া, হন্ডুরাস, আইভরি কোস্ট, লিশটেনস্টাইন, মৌরতানিয়া, মোজাম্বিক ও তানজানিয়া। হোয়াইট হাউসের ঊর্ধ্বতন এক প্রশাসনিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বার্তা সংস্থাকে এ তথ্য জানান।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি আগামী মঙ্গলবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে সম্মেলনপূর্ব আলোচনায় অংশ নেবেন। তাঁদের আলোচনার মূল বিষয়বস্তু থাকবে ইউক্রেন।
বুধ ও বৃহস্পতিবার এই গণতন্ত্র সম্মেলন হবে। এবারের সম্মেলনের সহ-আয়োজক হিসেবে থাকছে কোস্টারিকা, নেদারল্যান্ডস, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাম্বিয়া। সম্মেলনের প্রথম পর্ব ভার্চ্যুয়াল, অর্থাৎ অনলাইনে, যাঁর যাঁর দেশে বসেই বিশ্বনেতারা আলোচনায় বসবেন। দ্বিতীয় পর্বে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য সহ-আয়োজক দেশে সশরীর ও ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে অংশগ্রহণের মাধ্যমে আলোচনায় অংশ নেবেন নেতারা। বিশ্বনেতারা ছাড়া সুশীল সমাজ এবং ব্যক্তি খাতের প্রতিনিধিরাও এতে অংশ নেবেন।
২০২১ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত সম্মেলনের পর থেকে বিশ্ব বড় ধরনের পরিবর্তন দেখছে। এ সময় বিশ্বের অধিকাংশ দেশ করোনা মহামারি কাটিয়ে উঠেছে। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপে এটি সবচেয়ে বড় ধরনের যুদ্ধ, যা পূর্ব ইউরোপীয় দেশটিকে ধ্বংস করে দিচ্ছে এবং বিশ্ব অর্থনীতিকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে।
২০২০ সালের নির্বাচনী প্রচারে বাইডেন গণতন্ত্র সম্মেলনের ধারণাটির প্রস্তাব দিয়েছিলেন। ২০২১ সালে প্রথম এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এই সম্মেলনের মূল লক্ষ্য হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের সমমনা মিত্র দেশগুলোর বিশ্বকে দেখানো যে স্বৈরাচারের চেয়ে গণতন্ত্র সমাজের জন্য সর্বোত্তম হাতিয়ার।