যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহ করা ক্লাস্টার বা গুচ্ছবোমা ইউক্রেনের হাতে রয়েছে। রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ এই অস্ত্র ব্যবহার করছে ইউক্রেন। হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা মুখপাত্র জন কিরবি গতকাল বৃহস্পতিবার এই তথ্য জানিয়েছেন।
গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে জন কিরবি বলেন, ‘আমরা ইউক্রেনীয়দের কাছ থেকে কিছু প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া পেয়েছি। এবং তারা সেগুলো (গুচ্ছবোমা) বেশ কার্যকরভাবে ব্যবহার করছে।’
জন কিরবির ভাষ্য, যুদ্ধে রাশিয়ার প্রতিরক্ষামূলক অবস্থান ও কৌশলে প্রভাব ফেলছে গুচ্ছবোমা।
চলতি মাসের শুরুর দিকে ইউক্রেনকে বিতর্কিত গুচ্ছবোমা দেওয়ার বিষয়ে ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। তখন ইউক্রেনের পক্ষ থেকে বলা হয়, কিয়েভ এই অস্ত্র রাশিয়ার ভূখণ্ডে ব্যবহার করবে না। ইউক্রেনের ভূখণ্ড দখলমুক্ত করতেই এই অস্ত্র ব্যবহার করা হবে।
প্রতিক্রিয়ায় মস্কো বলে, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে গুচ্ছবোমা দিলে রুশ বাহিনী পাল্টা হিসেবে ইউক্রেনীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে একই ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করতে বাধ্য হবে।
যুদ্ধক্ষেত্র রুশ সেনাদের গুচ্ছবোমা থেকে রক্ষায় ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানায় রাশিয়া।
যুক্তরাষ্ট্রের ‘নিষিদ্ধ’ গুচ্ছ বোমা ইউক্রেনে
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়া। প্রায় ১৭ মাস ধরে চলা এই সংঘাতে মস্কো ও কিয়েভ উভয়য়ের বিরুদ্ধে গুচ্ছবোমা ব্যবহারের অভিযোগ আছে।
যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে গুচ্ছবোমা দিলে একই অস্ত্র ব্যবহারে মস্কো বাধ্য হবে: রাশিয়া
বিশ্বের ১০০টির বেশি দেশে গুচ্ছবোমার উৎপাদন, মজুত ও ব্যবহার নিষিদ্ধ। যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে এই বোমার উৎপাদন, মজুত ও ব্যবহার বন্ধে বিশ্বের ১২৩টি দেশ একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি সই করেছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র, ইউক্রেন ও রাশিয়া এই চুক্তিতে সই করেনি।