বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ জয়, এরপর কানাডা ও পাকিস্তানকে হারিয়ে বিশ্বকাপে দুর্দান্ত শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র। গ্রুপ পর্বে শুধু মাত্র ভারতের বিপক্ষে হারের স্বাদ পেয়েছিল তারা। সুপার এইটের আগে সবশেষ সাত ম্যাচের পাঁচ জয় তুলে নিয়ে রীতিমতো উড়তে শুরু করেছিল যুক্তরাষ্ট্র।
তবে সুপার এইটের প্রথম ম্যাচেই বিশ্বকাপের সহআয়োজক দেশটিকে মাটিতে নামিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এই ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রকে ১৮ রানের ব্যবধানে হারিয়ে সেমিফাইনালের পথে নিজেদের এগিয়ে রেখেছেন ডি কক-মারক্রামরা।
বুধবার (১৯ জুন) অ্যান্টিগায় আগে ব্যাট করে যুক্তরাষ্ট্রকে ১৯৫ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাব দিতে নেমে নির্ধারিত ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭৬ রান তুলতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। এতে ১৮ রানের জয় পায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দুর্দান্ত শুরু করেছিল যুক্তরাষ্ট্রের দুই ওপেনার স্টিভেন টেইলর এবং অ্যান্ড্রিস গাউস। তবে ইনিংস লম্বা করতে পারেননি টেইলর। ১৪ বলে ২৪ রান করেন তিনি।
গাউস এক প্রান্ত আগলে রাখলেও উইকেট মিছিল শুরু করে বাকিরা। নিতিশ কুমার (৮), অ্যারন জোন্স (০), করি অ্যান্ডারসন (১২) এবং শায়ান জাহাঙ্গীর ৯ বলে ৩ রান করে আউটন। এরপর হারমীত সিংকে সঙ্গে নিয়ে লড়াই করে থাকেন গাউস।
৩৩ বলে ফিফটি তুলে নেন এই ডান হাতি ব্যাটার। গাউসের মারকুটে ব্যাটিংয়ে ভর করে শেষ ১২ বলে যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৮ রান। কিন্তু ১৯তম ওভারে প্রথম বলে হারমীত আউট হলে চাপে পড়ে তারা।
কিন্তু গাউস বলে রানের অপরাজিত ইনিংস খেললেও হার এড়াতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্র। নির্ধারিত ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭৬ রান তুলতে পারে তারা। এতে ১৮ রানের জয় পায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট শিকার করেন কাগিসো রাবাদা। এ ছাড়াও কেসব মহরাজ, তাব্রাইজ শামসি এবং এনরিখ নরকিয়া একটি করে উইকেট নেন।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি দক্ষিণ আফ্রিকার। ১১ বলে ১১ রান করে শুরুতেই সাজঘরে ফেরেন রেজা হেনড্রিক্স। তবে ব্যাট চালাতে থাকেন আরেক ওপেনার কুইনটন ডি কক। ২৬ বলে ফিফটি তুলে নেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন এইডেন মারক্রাম।
৪০ বলে ৭৪ রানের দায়িত্বশীল ইনিংস খেলে ক্যাচ আউট হন ডি কক। পরের বলে ডাক আউট হন মিলার। তবে যুক্তরাষ্ট্র বোলারদের উপর ছড়ি ঘোরাতে মারক্রাম। তবে ফিফটি পাননি এই প্রোটিয়া অধিনায়ক। ৩২ বলে ৪৬ রান করেন তিনি।
এরপর ক্রিস্টান স্টাবসকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন হেইনরিচ ক্লাসেন। দুজনের ব্যাটে ভর করে বড় সংগ্রহের পথে এগোতে থাকে প্রোটিয়ারা।
শেষ পর্যন্ত ক্রিস্টান স্টাবসের ১৬ বলে ২০ রান এবং হেইনরিচ ক্লাসেনের ২২ বলের অপরাজিত ৩৬ রানের ইনিংসে ভর করে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৯৪ রানের বড় পুঁজি পায় দক্ষিণ আফ্রিকা।