যুক্তরাজ্য সফরে আছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। স্থানীয় সময় রোববার ব্রিটেনে যান তিনি। এই সফরে তিনি ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লস এবং দেশটির প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন বলে জানা গেছে।
এএফপির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, বাইডেনকে বহনকারী বিমান এয়ার ফোর্স ওয়ান স্থানীয় সময় রোববার সন্ধ্যায় লন্ডনের উত্তরে স্ট্যানস্টেড বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
সোমবার তিনি উইন্ডসর ক্যাসেলে রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। রাজ্যাভিষেকের পর প্রথমবারের মতো চার্লসের সঙ্গে সাক্ষাৎ হতে যাচ্ছে বাইডেনের। রাজ্যাভিষেকে বাইডেন উপস্থিত ছিলেন না। তবে মার্কিন ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
১০ ডাউনিং স্ট্রিটে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের সঙ্গে বাইডেন বৈঠক করবেন বলে জানানো হয়। তারা পরিবেশের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করবেনে বলে হোয়াইট হাউজ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে।
মূলত আসন্ন ন্যাটো সম্মেলনকে মাথায় রেখেই ইউরোপে সফর করছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। ধারণা করা হচ্ছে, পশ্চিমা মিত্র দেশগুলো রাশিয়ার সেনাবাহিনীকে উৎখাত করতে ইউক্রেনকে সাহায্য করার বিষয়ে আলোচনা করবে।
রোববার সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেছেন, ইউক্রেনকে এখন ন্যাটোতে অন্তর্ভূক্ত করা মানে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ন্যাটোর যুদ্ধ শুরু হওয়া।
বাইডেন বলেন, অনুচ্ছেদ ৫-এর অধীনে আক্রমণের শিকার যে কোনও সদস্য দেশকে রক্ষা করতে ন্যাটো প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি বলেন, যাই হোক না কেন এটি একটি প্রতিশ্রুতি যা আমরা সবাই মিলে তৈরি করেছি। যদি যুদ্ধ চলমান থাকে তার অর্থ আমরা সবাই যুদ্ধে আছি। এখন ইউক্রেন ন্যাটোতে যোগ দেওয়া মানে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আমাদের যুদ্ধ করা।
এর আগে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান ন্যাটোতে ইউক্রেনের যোগদানের দাবিকে সমর্থন জানান।