মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও তার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্তের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। সেই রেশ ধরে এবার নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তারের ইঙ্গিত দিয়ে দিলো ইসরায়েলের মিত্র বলে পরিচিত যুক্তরাজ্য।
প্রসঙ্গত, আইসিসির মোট ১২৪ সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে যুক্তরাজ্যও একটি।
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টেরমারের মুখপাত্র বলেন, অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলার জন্য যুক্তরাজ্যের যে বাধ্যবাধকতা রয়েছে, তা সবসময় মেনে চলা হবে।
এরপর নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তার করা হবে কি না, সরাসরি এমন প্রশ্ন করা হলে জবাবে তিনি বলেন, আমি নির্দিষ্ট কোনো মামলা নিয়ে কথা বলব না।
এর আগে অপর এক ব্রিটিশ মুখপাত্র আরও কঠোরভাবে এ প্রশ্নের জবাব দেন। তিনি বলেন, আমরা আন্তর্জাতিক আদালতের স্বাধীনতাকে সম্মান করি। যেটি পৃথিবীর সবচেয়ে গুরুতর অপরাধ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী নিয়ে তদন্ত ও বিচার করার প্রাথমিক আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান।
এদিকে নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তার করার সিদ্ধান্ত অকপটে জানান আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সিমন হ্যারিস। তিনি বলেন, নেতানিয়াহু যদি আয়ারল্যান্ডে পা দেন, তাহলে তাকে অবশ্যই গ্রেপ্তার করা হবে। আমরা আন্তর্জাতিক আদালতকে সমর্থন করি এবং তাদের পরোয়ানা প্রয়োগ করি।
অবশ্য, নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার জারির ব্যাপারে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠতম মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আইসিসির এ রায়কে ‘জঘন্য’ হিসেবে অভিহিত করেছেন তিনি।
এর প্রতিক্রিয়ায় আয়ারল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিখায়েল মার্টিন বলেছেন, আমি প্রেসিডেন্ট বাইডেনের বক্তব্যের বিরোধীতা করছি। কারণ গাজায় যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত হয়েছে। এটি গাজাবাসীর ওপর সমষ্টিগত শাস্তি, এটি গণহত্যা।