গাজীপুরে মে দিবসে শ্রমিকদের শোভাযাত্রায় জাহাঙ্গীর, বেতন-ভাতা বাড়ানোর দাবি

0
89
মহান মে দিবসের শোভাযাত্রায় অংশ নিয়ে শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির দাবি জানান জাহাঙ্গীর আলম। আজ সকালে গাজীপুরের মাইক্রোস্ট্যান্ড এলাকায়

ঋণখেলাপি হওয়ার কারণে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মনোনয়পত্র বাতিলের পরদিন শ্রমিকদের মে দিবসের কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন জাহাঙ্গীর আলম। আজ সোমবার নগরের মাইক্রোস্ট্যান্ড এলাকার একটি শোভাযাত্রায় অংশ নিয়ে তিনি শ্রমিকদের সর্বনিম্ন বেতন ২০ হাজার টাকা করার দাবি জানান।

মেয়র পদে প্রার্থী হওয়ার জন্য আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাময়িক বহিষ্কৃত মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। তবে দল মনোনয়ন দিয়েছে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লা খানকে। পরবর্তী সময়ে গত বৃহস্পতিবার মেয়র পদে আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী হিসেবে মনোনয়পত্র জমা দেন তিনি। সঙ্গে তাঁর মা জায়েদা খাতুনের নামেও মনোনয়নপত্র জমা দেন। যাচাই-বাছাইয়ে গতকাল রোববার তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করে রিটার্নিং কর্মকর্তা। কারণ দেখানো হয় খেলাপি ঋণ। তবে বৈধ হয় তাঁর মায়ের মনোনয়নপত্র।

যদি কোনো ধরনের আলোচনা হয়, তবে সেটার জন্য দরজা খোলা: জাহাঙ্গীর আলম

আজ সকাল সাড়ে ১০টায় নগরের মাইক্রোস্ট্যান্ড এলাকার একটি শোভাযাত্রায় অংশ নিয়ে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘একজন কারখানাশ্রমিক মাসে বেতন পান মাত্র ৮০ ডলার, যা টাকায় ৮ হাজারের কিছু ওপরে। একজন মালিক যে দোকান থেকে খাবার কিনে, যে টাকা খরচ হয়, একজন শ্রমিককেও ঠিক একই টাকা খরচ করতে হয়। অথচ মালিকের টাকা শ্রমিকের চেয়ে অনেক বেশি। তাই একজন শ্রমিকের মাসে অন্তত ২০০ থেকে ২৫০ ডলার বেতন পাওয়া উচিত। একজন শ্রমিক প্রতিদিন অন্তত ১০ ডলার ইনকাম করতে না পারলে তার পরিবার চলে না, জীবনধারণ কঠিন হয়ে পড়ে।’

শোভাযাত্রায় অংশ নেয় বিভিন্ন কারখানা ও শ্রমিক সংগঠনের নেতা–কর্মী। এরপর সেখান থেকে একই দাবিতে নগরের চান্দনা চৌরস্তার এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কেও শোভাযাত্রা করেন তিনি। এ সময় শ্রমিকদের সঙ্গে কথাবার্তা ও কুশল বিনিময় করেন জাহাঙ্গীর।

সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে শ্রমিকদের বেতনের তুলনা করে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, একজন সরকারি কর্মকর্তার সর্বনিম্ন বেতন যদি হয় ২২ হাজার টাকা, তাহলে কেন একজন কারখানাশ্রমিক ৮ ঘণ্টা থেকে ১২ ঘণ্টা কাজ করে বেতন পাবেন মাত্র ৮ হাজার টাকা। দেশ উন্নত হচ্ছে, অর্থনীতি এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু শ্রমিকদের বেতন না বাড়লে তাঁরা কষ্ট পাবেন। তাই সব পেশার শ্রমিককে তাঁর পরিবার চালানোর জন্য, যাতে তিন বেলা খেতে পারে, বা একটা ঘরে ঘুমাতে পারে, সে অনুযায়ী বেতনটা দেওয়া উচিত। একজন শ্রমিকের বেতন যেন সর্বনিম্ন ২০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। এ ব্যাপারে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.