যাঁরা হলে থাকতেন, টিউশনি করতেন, ওনারা এখন পাঁচ-ছয় কোটি টাকার গাড়িতে চড়েন

বিএনপি নেতা বরকতউল্লা

0
14
নোয়াখালীতে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের উপহার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লা বুলু। আজ দুপুরে বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনীর একটি মিলনায়তনে

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লা বুলু বলেছেন, কয়েকজন উপদেষ্টা আছেন যাঁরা ছাত্ররাজনীতি করতেন। হলে থাকতেন, মেসে থাকতেন, টিউশনি করতেন, ওনারা এখন পাঁচ-ছয় কোটি টাকার গাড়িতে চড়েন। আগে–পিছে আরও ৩০-৪০ কোটি টাকার গাড়ি থাকে। কয়েক দিন আগে এক নেতা গিয়েছেন তাঁর বাড়িতে। এক শর অধিক গাড়ি নিয়ে গেছেন।

তিনি আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার সাত শহীদ পরিবারের মধ্যে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের উপহারসামগ্রী বিতরণের সময় এসব কথা বলেন।

বরকতউল্লা আরও বলেন, ‘ওনারা হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে পাঁচ কোটি টাকা খরচ করে ইফতার পার্টি করেছেন। ১৫-২০ কোটি টাকা খরচ করে দলের আত্মপ্রকাশের অনুষ্ঠান করেছেন। আগে তাঁরা পরতেন ৫০০ টাকার দামের পাঞ্জাবি এখন পরেন ৩০ হাজার টাকা দামের পাঞ্জাবি। জুতা পরেন ৫০ হাজার টাকার। হাতের ঘড়ি ৪০ হাজার টাকা। ওনারা প্রশাসনের ওপর ফোর্স করেন অমুককে বদলি করতে হবে, অমুকখানে অমুককে দিতে হবে। সচিবরা বলেন তাঁরা তাঁদের ওপর ফোর্স করেন। প্রকৌশলীদের চাপ দেওয়া হয় অমুককে এ জায়গায় দিতে হবে, অমুকে এই কাজ দিতে হবে। এই যে দেশে নৈরাজ্য মব জাস্টিসের নামে মানুষের বাড়িঘরে হামলা করা হচ্ছে। এর থেকে মুক্তি পেতে হলে নির্বাচন ছাড়া কোনো উপায় নাই।’

বিএনপি নেতা বরকতউল্লা বলেন, ‘আমাদের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী সব সময় জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে। সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত যাঁরা করতে চান, তাঁরা বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বের সপক্ষে নয়।’

তিনি বলেন, ‘যাঁরা বাংলাদেশের ৭১ কে অস্বীকার করেন, যাঁরা ৪৭–এর পূর্বে ফিরে যেতে চান, যাঁরা ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তকে অস্বীকার করতে চান, যাঁরা এই মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার করেন, মুক্তিযুদ্ধকে পাশ কাটিয়ে যাঁরা কথা বলেন, তাঁরা এই দেশের জনগণের সপক্ষে রাজনীতি করেন বলে আমরা মনে করি না। যাঁরা ৭১ কে অস্বীকার করেন, তাঁদের বাংলাদেশে ভোট চাওয়ার কোনো অধিকার নেই। ভোটে দাঁড়ানোর কোনো অধিকার নেই, রাজনীতি করারও কোনো অধিকার নেই।’

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘আমাদের প্রিয় নেতা তারেক রহমান গত ১৭ বছর লন্ডনে আছেন, বেগম খালেদা জিয়া গ্রেপ্তার হওয়ার পর তিনি দলের হাল ধরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল এবং অন্য সব দলকে একত্র করে বাংলাদেশের রাষ্ট্র সংস্কার ও রাষ্ট্র মেরামতের যে রূপরেখা দিয়েছেন, সেই রূপরেখার মধ্য দিয়ে আগামী দিনে বাংলাদেশ একটি আত্মমর্যাদাশীল রাষ্ট্র হিসেবে পরিণত হবে।’

বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী শহরের একটি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বেগমগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি কামাখ্যা চন্দ্র দাস, জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য শামীমা বরকত প্রমুখ। আলোচনা শেষে শহীদ পরিবারের সদস্যদের হাতে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের উপহারসামগ্রী তুলে দেওয়া হয়।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.