যক্ষ্মার ওষুধ এখন বাংলাদেশেই তৈরি হচ্ছে। রোগী শনাক্তকরণ পরীক্ষা-নিরীক্ষা, রোগের চিকিৎসা ও ওষুধসহ সবকিছু বিনামূল্যে দেওয়া হয়। এরপরও সচেতনতার অভাব এবং যথাসময়ে চিকিৎসা না নেওয়ায় দেশে দিনে প্রায় ১০০ জনের মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস উপলক্ষে আজ বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে সারাদেশের সংসদ সদস্যদের নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, আইসিডিডিআর,বি, ইউএসএইড আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের প্রায় ২০০ কোটি মানুষের শরীরে টিবি বা যক্ষ্মা আছে। এ রোগে প্রতিবছর বিশ্বে ১৫ কোটি মানুষ মারা যায়। যেখানে দারিদ্রতা বেশি সেখানে যক্ষ্মা বা টিবির হারও বেশি। আমাদের দেশে যক্ষ্মা শনাক্তের হার প্রায় ৮০ শতাংশ। এখনও প্রায় ১৯-২০ শতাংশ রোগী শনাক্তের বাইরে।
জাহিদ মালেক বলেন, বিশ্বের ৭০ শতাংশ যক্ষ্মা রোগীর বসবাস মাত্র ৮ থেকে ১০টি দেশে। সেই তালিকার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। আশার দিক হলো অতীতের চেয়ে যক্ষ্মা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। ২০০২ সালে যেখানে বছরে প্রায় ৭৫ হাজার মানুষ যক্ষ্মায় মারা যেত। এখন সেটা কমে ৪০ হাজারে নেমেছে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ড. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির, পরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. সামিউল ইসলাম, আইসিডিডিআর,বির নির্বাহী পরিচালক ডা. তাহমিদ আহমেদ, ইউএসআইডির ইনফেকশাস ডিজিজ টিম লিডার ডা. শামীমা চৌধুরী, জাতীয় টিবি প্রোগ্রামের লাইন ডাইরেক্টর ডা. মো. মাহফুজুর রহমান সরকার প্রমুখ।